বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) কক্সবাজার জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর জানায়, এদিন পর্যন্ত তারা এসব রোহিঙ্গা শিশুকে শনাক্ত করেছেন।
এর আগে ১৭ অক্টোবর রোহিঙ্গা নাগরিকদের মানবিক সহায়তা বিষয়ক আন্তঃসংস্থা সমন্বয় সভায় জেলা সমাজসেবা অফিসার মো. এমরান খান তখনো পর্যন্ত ১৬ হাজার ৮৩৩ জন এতিম রোহিঙ্গা শিশুর সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
এদিকে তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি) জানিয়েছে, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দানের অংশ হিসেবে সেবা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কক্সবাজার সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে ৩৬টি মেডিকেল টিম ক্যাম্পগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৩৩৪ জনকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার অস্থায়ী ঘর নির্মাণের বিপরীতে ১ লাখ ২৩ হাজার ২২৪টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। নতুন ক্যাম্প এলাকায় ২০টি প্রশাসনিক ব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন ক্যাম্প এলাকায় অগ্নিনির্বাপন কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে উখিয়ার রাবার বাগান এলাকায় ১টি এবং টেকনাফের উনচিপ্রাং এলাকায় ১টি অস্থায়ী ফায়ার সার্ভিস ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানিয়েছে, নতুন ক্যাম্প এলাকায় ১৭ কি.মি. নতুন বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের বিপরীতে ৯ কি.মি. লাইন সম্পন্ন হয়েছে। ক্যাম্প এলাকায় ৪০টি নিরাপত্তা বাতি বসানো হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ৯৯টি বাতি সংবলিত ৩৩টি সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। আরও ১৭টি প্যানেল স্থাপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জানিয়েছে, নতুন ক্যাম্প এলাকায় ২৯ কি.মি. সড়কের মধ্যে ১০টি সড়কের শতকরা ৬৮ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭
টিএইচ/আইএসএ/টিসি