চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সিংহপুরুষ মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার মানুষ গভীর রাতেই হাসপাতাল ও তার বাসভবনে ভিড় জমায়। ভক্তদের মাঝে দফায় দফায় কান্নার রোল ওঠে।
চট্টগ্রামের বর্তমান নগর পিতা আ জ ম নাছির উদ্দিন সাবেক নগর পিতাকে দেখতে রাতেই ছুটে যান হাসপাতালে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে রাতেই শুরু হয় শোক প্রকাশ।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, আমরা একজন মহান নেতাকে হারিয়েছি। চট্টগ্রাম হারিয়েছে তার অভিভাবককে।
‘সব দলের নেতাকর্মীদের কাছেই তিনি একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ছিলেন সকলের নেতা। যে কোনো কঠিন সময়ে তিনি চট্টগ্রামবাসীর পক্ষে দাঁড়াতেন। ’
‘মহিউদ্দিন চৌধুরীর চলে যাওয়ায় যে শূন্যতা হল, তা কখনও পূরণ হওয়ার নয়’ বলেন শোকাহত মহানগর আওয়ামী লীগের আরেক সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
চট্টগ্রামবাসী তাকে বীর বলেই জানে। বীরের কখনো মৃত্যু হয় না বলে নিজেদের সান্ত্বনা দিতে থাকে তারা।
চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামে ১৯৪৪ সালের ১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা ছিলেন। ১৯৯৪ সাল থেকে শুরু করে ২০০৯ পর্যন্ত কয়েক দফায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সিটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ভক্ত, অনুগতসহ সবাইকে শোক সাগরে ভাসিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
আরডিজি/এমএইচ/জেডএম
আরও পড়ুন>>
**মহিউদ্দীন চৌধুরীর মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক