মঙ্গলবার (২৯ মে) বিকেলে সমর চৌধুরীর বড় মেয়ে অলকানন্দ চৌধুরী বোয়ালখালীতে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গত রোববার (২৭ মে) জহুর হকার্স মার্কেটের সামনে থেকে বাবাকে (সমর কৃষ্ণ চৌধুরী) সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে যায়।
অলকানন্দা চৌধুরী অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘বাবাকে আটকের পর আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেছি। পরে বোয়ালখালী থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিমাংশু কুমার দাস বারবার আমার বাবাকে গ্রেফতারে ‘উপরের নির্দেশ’ রয়েছে বলে জানান। কার নির্দেশ! কেন নিরীহ ব্যক্তি এভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন জানতে চাইলে, ওসি এর কোনো সদুত্তর দেননি। ’
অলকানন্দা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এক ব্রিটিশ নাগরিক সঞ্জয় দাশের সঙ্গে আমার বাবার বন্ধু স্বপন দাশের জায়গা-সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে স্বপন দাশ আমার বাবার (সমর চৌধুরী) সহায়তা চাইলে তিনি একজন ভালো আইনজীবী দেখিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সঞ্জয় দাশ পুলিশকে দিয়ে আমার বাবাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে। ’
এর আগেও বাবার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়েছিলো বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সমর চৌধুরীর ছোট মেয়ে তমালিকা চৌধুরী, বড় মেয়ের স্বামী ধীমান মল্লিক, স্থানীয় ইউপি সদস্য সুরেশ চৌধুরী।
এর আগে উপজেলা পরিষদের সামনে সমর চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন তার পরিবারের সদস্যরা। মানববন্ধনে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন অলকানন্দা চৌধুরী।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়ায় দুইজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যদিও পরে আটক সেই দুইজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বোয়ালখালী থানার ওসি হিমাংশু কুমার দাস বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগের একটি মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে সমর চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাড়ি থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ’
সমর চৌধুরী কোন মামলায় পলাতক ছিলো তা জানতে চাইলে ওসি হিমাংশু কুমার দাস কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। ৫ মিনিট পর জানাবেন বলে টেলিফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন ওসি। পরে কল দিলেও টেলিফোন রিসিভ করেননি ওসি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সঞ্জয় দাশের মোবাইল নাম্বারে কল করলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৮
এসকে/টিসি