চট্টগ্রাম: লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ মাদার ভ্যাসেল, সাগর, নদী ও ৫৭টি ঘাটে পণ্যবোঝাই লাইটার জাহাজে আটকা পড়েছে প্রায় ১৫ লাখ টন আমদানি করা পণ্য।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) চাঁদপুরে লাইটার জাহাজে ৭ নাবিক হত্যার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও নিরাপদ নৌপথ নিশ্চিতের দাবিতে এ কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল (বিডব্লিউটিসিসি) সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫৭টি ঘাটে ৭৩৮টি জাহাজ ১০ লাখ ১১ হাজার ২৩৫ টন আমদানি পণ্য বোঝাই করে বসে আছে কর্মবিরতির কারণে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা জানান, এমভি আল-বাখেরা জাহাজে মৃত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা এবং সব নৌপথে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যক্রম পরিলক্ষিত না হওয়ার কারণে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। রাত ১২টা থেকে পণ্যবাহী, তৈল-গ্যাস, কয়লা ও বালুসহ সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযান চলাচল এবং পণ্য ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।
ইনল্যান্ড ভ্যাসেল ওনার্স অব চিটাগং (আইভোয়াক) এর মুখপাত্র পারভেজ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, যত দ্রুত লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার বা স্থগিত করা হবে তত দেশের জন্য মঙ্গল। বন্দরের বহির্নোঙরে যে বড় বড় জাহাজগুলো অপেক্ষমাণ আছে সেগুলোর প্রতিটির দিনপ্রতি ডেমারেজ প্রায় ১৫-২০ হাজার ডলার। এ ছাড়া আটশ’ লাইটার জাহাজে যেসব পণ্য আটকা পড়েছে তা-ও উদ্বেগজনক। আবার নৌযান শ্রমিকরা সরকারের প্রতি বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন। নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পণ্যবাহী জাহাজের রুটে নজরদারি বাড়ালে সুফল মিলবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি