শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য এমএ লতিফ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তাড়াহুড়োর ফাঁকে চুরিচামারি হচ্ছে কিনা দেখতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে উন্নয়ন করছেন। মানুষ হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাজিক মেশিনের (মোবাইল ফোন) মাধ্যমে সেই উন্নয়নের কথা জানেন। আমার মতো লতিফ রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, আপনার চেয়ে অনেক মেধাবী তরুণ পথে পথে ঘুরছে। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে চাই সততা আর দেশপ্রেম। চীন দেশপ্রেমের কারণে এগিয়ে গেছে।
বিশেষ অতিথি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন) প্রকাশ দেওয়ান বলেন, দেশে রাজস্ব আদায়ের বড় কেন্দ্র চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। কাস্টম শুধু রাজস্ব আদায় করে না একই সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখে।
তিনি বলেন, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড না থাকলে তৈরি পোশাক রফতানি কঠিন হতো। কারণ কমপ্লায়েন্স। চট্টগ্রাম বন্দরের যেমন পণ্য পরিবহন বাড়ছে তেমনি কাস্টম হাউসের বিল অব এন্ট্রি বাড়ছে। সতর্ক করতে চাই, কাস্টমের কোনো কর্মকর্তার দুর্নীতির দায় এনবিআর নেবে না।
চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এর কমিশনার মোতাহের হোসেন বলেন, মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলে বাংলাদেশ সাফল্য পেয়েছে। ২০৩০ সালে সাসটেইনেবেল গোলের জন্য কাজ করছে সরকার। এর জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ রেভিনিউ মোবিলাইজেশন। ২০৩২ সালে ২৫তম অর্থনৈতিক দেশে রূপান্তর হবে বাংলাদেশ। এর জন্য এনবিআরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ডিজিটালাইজেশন করতে হবে। জি-২০তে বাংলাদেশ ডাক পায় মতো কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীর সঠিক ডিক্লারেশন দিলে কাস্টমসের শুল্ক আদায়ের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ট্রেড ফ্যাসিলিটির পাশাপাশি চোরাচালান, মাদক ও মানবপাচার রোধে কাস্টম কাজ করছে।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বার ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কাস্টম হাউসে অটোমেশন করে। এখন ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর সময় এসেছে। বন্দরের প্রতিটি গেটে স্কেনার বসাতে হবে। ডকুমেন্টাশন আরও দ্রুততর করতে হবে। সময়ই হচ্ছে ব্যবসা। ব্যবসায়ী চায় না বন্দরে ডেমারেজ দিতে। কেউ যদি বন্দরকে গুদাম বানাতে চায় তবে শাস্তির আওতায় আনা হোক। কাস্টম হাউসে জনবল বাড়াতে হবে, এ ভবন ভেঙে আধুনিক করতে হবে। পরিবেশ উন্নত করতে হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, বন্দর এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে। চট্টগ্রাম বন্দরে যত সহজে আমদানি পণ্য ডেলিভারি হলে শিল্পকারখানার কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমবে। বন্দরের উন্নয়ন ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। মাঝেমধ্যে মেশিনপত্র নষ্ট হলে দুর্ভোগ হয়। এর থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা, ক্ষেত্র বিশেষে বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে। শুল্কায়নে হয়রানি পরিহার করে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। ব্যবসার উত্থান-পতন বুঝতে হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু সহ সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
এআর/টিসি