ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩৮ কোটি টাকা আদায়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবে চসিক

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
১৩৮ কোটি টাকা আদায়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবে চসিক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

চট্টগ্রাম: নগরে ২৯টি মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কাছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পৌরকর বাকি ১৩৭ কোটি ৯২ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৫ টাকা। এ টাকা আদায়ের জন্য এসব মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিচ্ছেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মেয়র বাংলানিউজকে বলেন, জনবল ও বেতন কাঠামো বৃদ্ধি, নগরের ক্রমবর্ধমান আবর্জনা অপসারণ, নালা পরিষ্কার, সড়ক আলোকায়নে ব্যয় বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ভর্তুকি, ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রমের কারণে চসিকের খরচ দিন দিন বাড়ছে। যার সিংহভাগ গৃহকর ও রেইট থেকে নির্বাহ করা হয়।

এ অবস্থায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌরকর বকেয়া পড়েছে ১৩৮ কোটি টাকার মতো। এর আগেও আমরা এসব আদায়ে মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।

তিনি বলেন, যেহেতু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী পর্যায়ে পরিবর্তন এসেছে তাই আমরা আবারও চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ লক্ষ্যে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশাকরি, দু-এক দিনের মধ্যে চিঠি পাঠাতে পারবো।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি পৌরকর বাকি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কাছে। ২০১৭-১৮ সালের জুন পর্যন্ত বাকি ছিল ৮১ কোটি ৫৮ লাখ ৩৯ হাজার ৮১৯ টাকা। চলতি ২০১৮-১৯ সালের হাল দাবি ৩ কোটি ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৭ টাকা। মোট দাবি ৮৪ কোটি ৭৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৬৬ টাকা।   

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০১৮-১৯ সালের পৌরকরসহ মোট পাওনা১২ কোটি ৩১ লাখ ৩৫ হাজার ৯১১ টাকা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পৌরকর বাকি ৫৫ কোটি, ৮৯ লাখ টাকা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ৩৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বাকি।

চসিকের পৌরকর পাওনা রয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, অর্থ, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু, সড়ক পরিবহন ও সেতু, প্রতিরক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, বিদ্যূৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, শিল্প, ভূমি, জনপ্রশাসন, ধর্ম, বস্ত্র ও পাট, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, নৌপরিবহন, মহিলা ও শিশু, সংস্কৃতি, তথ্য, পানিসম্পদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কাছে।      

সূত্র জানায়, এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর উপানুষ্ঠানিক পত্র দিয়েছিলেন। তখন একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাও অনুষ্ঠিত হয়। যাতে চসিকের পৌরকর পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দের জন্য বলা হয়।        

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।