ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কক্সবাজারকে সুন্দর পর্যটন নগরী বানাতে চান কানিজ ফাতেমা

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
কক্সবাজারকে সুন্দর পর্যটন নগরী বানাতে চান কানিজ ফাতেমা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কানিজ ফাতেমা মোস্তাক। ফাইল ছবি।

কক্সবাজার: বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারকে আরও সুন্দর পর্যটন নগরীতে পরিণত করতে কাজ করতে চান কক্সবাজার থেকে নির্বাচিত সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক।

নির্বাচিত হওয়ার পর বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

কানিজ ফাতেমা মোস্তাক বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার।

আমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে কক্সবাজারকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বঙ্গবন্ধু দুই দুইবার আমাকে বলেছিলেন-এই কক্সবাজারকে তুই মায়ামী বানাতে পারবি? আমি বলেছিলাম-পারবো।
থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরের চেয়েও সুন্দর পর্যটন নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। ’

১৯৯৬ সাল থেকে পর পর চারবার কক্সবাজার জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন কানিজ ফাতেমা মোস্তাক। এছাড়াও তিনদফায় প্রায় ১৫ বছরেরও বেশি জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কক্সবাজারের রাজনৈতিক অঙ্গণে কানিজ ফাতেমা মোস্তাকের বিচরণ কম সময়ের নয়। কানিজ ফাতেমা মোস্তাক কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহম্মদ চৌধুরীর সহধর্মিনী।  

২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেয়েও হাতছাড়া হয়ে যায় দলীয় মনোনয়ন। কিন্তু সেবার তিনি সংসদ সদস্য হতে না পারলেও রাজনৈতিক অঙ্গণে তার ধারাবাহিক বিচরণ তা এক দিনের জন্যও ছন্দপতন ঘটেনি। সংসদ সদস্য হতে না পারলেও রাজনীতির মাঠ থেকে সরে দাঁড়াননি কানিজ ফাতেমা। এবার তার স্বীকৃতিও পেলেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন কানিজ ফাতেমা মোস্তাক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কানিজ ফাতেমা মোস্তাক।  ফাইল ছবি।

কানিজ ফাতেমা মোস্তাক বলেন, ‘কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হচ্ছে, রেল লাইন হচ্ছে। কক্সবাজার এখন এলোমেলো শহরে পরিণত হয়েছে। এখানে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আছে, জেলা প্রশাসন আছে, পৌরসভা আছে সবার সঙ্গে বসে পরিকল্পনা করে কিভাবে কক্সবাজারকে ঢেলে সাজানো যায় সেই চেষ্টা আমি করে যাবো। এছাড়াও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কক্সবাজারের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের দিকেও আমি নজর দিতে চাই। ’

সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ায় কানিজ ফাতেমা মোস্তাক আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আমি কক্সবাজারের অবহেলিত, নির্যাতিত নারীদের নিয়ে কাজ করছি প্রায় ২০ বছরেরও বেশি। নারীদের কল্যাণে আমার কাজকে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমার কাজের স্বীকৃতি দিলেন তিনি। আমি কৃতজ্ঞ। ’

কানিজ ফাতেমা মোস্তাক বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে উন্নয়নের মহাজোয়ার বইছে। এখন প্রতিটি বছর আসে নতুন নতুন উন্নয়নের বার্তা নিয়ে। নারীদের স্বাবলম্বী করতে, নারীদের উন্নয়নেও বর্তমান সরকারের চলমান অনেক প্রকল্প রয়েছে। কক্সবাজারে নারী উন্নয়নের এই গতিকে আরো তরান্বিত করতে চাই’।

‘নারীদের নিয়ে আমাদের সমাজে বৈষম্য, কুসংস্কার ছিল সেই অবস্থার অনেক পরিবরতন হয়েছে। কক্সবাজারেও নারী নির্যাতনের হার এখন অনেক কম। এমনও অনেক ঘটনা আছে, আদালতে মামলা হয়ে গেছে আমি দুইপক্ষকে নিয়ে বসে সেটি মিমাংসা করেছি। পরে আদালতে সেই মামলার নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ’ যোগ করেন কানিজ ফাতেমা মোস্তাক।

তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাজপথের যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামে সব সময় সামনে থেকেছি। তাই দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে। এবার এলাকার প্রতি, এলাকার মানুষের প্রতি আমার মূল্যায়নের পালা। আমি যেন আমার কাজের মাধ্যমে আমার নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের ভালোবাসার সেই প্রতিদান দিতে পারি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।