আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে দুই ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বাদির আইনজীবী মোশাররফ হোসাইন।
মামলায় আসামিরা হলেন- আলমাছ আরা বেগমের বড় ছেলে মো. কামাল উদ্দিন (৪৫), মেঝো ছেলে মো. মহিউদ্দীন (৩৬) ও তাদের আত্মীয় রিয়াদ আহসান (২৮)।
আলমাছ আরা বেগম বন্দর থানার মধ্যম হালিশহর ফজল আমিন কোম্পানী বাড়ির রুহুল আমীনের স্ত্রী। রুহুল আমীন ২০০৮ সালে মারা যান।
অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসাইন বলেন, ‘পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে রেখে মা ও ভাই-বোনদের বঞ্চিত করতে চান কামাল উদ্দিন ও মহিউদ্দীন। এ ঘটনার রেশ ধরে ১৩ ফেব্রুয়ারি আলমাছ আরা বেগমকে মারধর করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে কামাল উদ্দিন ও মহিউদ্দীনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আলমাছ আরা বেগম। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে কামাল উদ্দিন ও মহিউদ্দীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। ’
আলমাছ আরা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঘটনার পর পর থানায় গেলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো কামাল উদ্দিন ও মহিউদ্দীনের পক্ষ নিয়ে রাত ২টার দিকে ছোট ছেলে জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করতে বাড়িতে আসে পুলিশ। ’
তবে আলমাছ আরা বেগম থানায় কোনো অভিযোগ করতে যাননি বলে দাবি করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দীন মাহমুদ।
মহিউদ্দীন মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘কামাল উদ্দিন ও মহিউদ্দীন থানায় এসেছিলেন। আমরা সবাইকে বৈঠকের জন্য আসতে বলেছি কিন্তু জসিম উদ্দিন ও আলমাছ আরা বেগম আসেন নি। আলমাছ আরা বেগম ও তার ছেলেদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক ঝামেলা অনেক দিনের পুরোনো। ’
আদালত কামাল উদ্দিন ও মহিউদ্দীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও এ সংক্রান্ত কোনো কাগজ এখনও পাননি বলে দাবি করেছেন বন্দর থানার ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
এসকে/টিসি