শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে রিহ্যাব মেলায় আনিসুর রহমান আসেন পছন্দের ফ্ল্যাটের খুঁজে। সঙ্গে স্ত্রী ও মেয়েও ছিল।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, `অনেক বছর কেটে গেলে ভাড়া বাসায়। আর থাকতে মন চাই না।
নগরের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউ মেজবান হলে চলছে চার দিনব্যাপী এ রিহ্যাব মেলা। তৃতীয় দিন মেলায় প্রাঙ্গন ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতার সংখ্যা কম থাকলেও বিকালে চাপ বাড়ে।
অন্যান্যবার ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী সংখ্যা বেশি থাকলেও এবার ক্রেতা বেশি আসছেন বলে স্টলের বিক্রয়কর্মীরা জানিয়েছেন।
তারা জানান, ছোট ও মাঝারি আকারের ফ্ল্যাট এবং প্লটে খুঁজছেন ক্রেতারা।
মেলায় আসা একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আবাসন ব্যবসায় আস্থার সংকট রয়েছে। সেটি কাটিয়ে উঠতে সরকারি সংস্থার তদারকি বাড়াতে হবে।
এদিকে মেলা উপলক্ষে আবাসন ব্যবসায়ের প্রতিষ্ঠানগুলো এককালীন দাম পরিশোধে দিচ্ছে বিশেষ ছাড়। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গৃহঋণ সুবিধায় দাম পরিশোধের সুযোগও রয়েছে। ২০-৩০ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে অনেক প্রতিষ্ঠান ফ্ল্যাট-প্লট ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছে।
সানমার প্রপার্টিজ লিমিটেড মেলায় ২২টি প্রকল্পে নিয়ে এসেছে। এসব প্রকল্পের অধীন ১৮টি প্রস্তুত ফ্ল্যাট রয়েছে তাদের।
প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মো. আয়ুব বাংলানিউজকে বলেন, মাঝারি আকারের ফ্ল্যাট খুঁজছে বেশি। এ ছাড়া নিম্ন মধ্যবিত্ত্বদের জন্য যে প্রকল্প রয়েছে সেটিতে ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
তিনি বলেন, প্রস্তুতের পাশাপাশি চলমান প্রকল্পগুলো থেকে ফ্ল্যাট কিনতে আগ্রহী ক্রেতারা। বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় চলমান প্রকল্প সানমার ‘গ্রিন পার্ক’ থেকে অনেকে ফ্ল্যাট কিনতে আসছেন।
মেলায় র্যাংকস এফসি প্রপার্টিজ লিমিটেড ১০টি প্রকল্পের অধীন প্রায় ১৫টি প্রস্তুত ফ্ল্যাট নিয়ে এসেছে। এ ছাড়া কিছু প্রস্তুত বাণিজ্যিক ফ্ল্যাটও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
র্যাংকস এফসি প্রপার্টিজ লিমিটেডের সহকারি ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ৩০ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ক্রেতাদের হাতে ফ্ল্যাট বুঝেয়ে দিতে আমরা প্রস্তুত। মেলার সময় চারদিনের মধ্যে তিনদিন ছুটি। এজন্য ভিড় কিছুটা কম। তবে ক্রয়ে আগ্রহী এমন ক্রেতা অন্যান্যবারের তুলনায় এবার বেশি পাচ্ছি। ’
এদিকে আয়োজকরা জানিয়েছেন, নিবন্ধন খরচ কমলেও আবাসন ব্যবসায় আরও গতি আসতো।
এবারের মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৭৬টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি নির্মাণ সামগ্রী ও ১১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য মেলা উন্মুক্ত।
মেলায় প্রবেশের জন্য দুই ধরনের টিকিটের ব্যবস্থা রয়েছে। একবার প্রবেশের জন্য ৫০ টাকার টিকিটের পাশাপাশি ৪ বার প্রবেশের জন্য মাল্টিপল টিকিট থাকবে ১০০ টাকায়। প্রতিদিন প্রবেশ টিকিটের ওপর র্যাফেল ড্রতে দেওয়া হচ্ছে আকর্ষণীয় উপহার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
এসইউ/টিসি