মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম শপিং কমপ্লেক্সের নিচতলায় হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় পক্ষের উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, নাগরিকদের সেবা এবং উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রাজস্ব আদায় ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই।
তিনি বলেন, সরকারি বেসরকারি মিলে যে ট্যাক্স সিটি করপোরেশন পায়, তা দিয়ে করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও হয় না। তারপরেও চসিক শিক্ষাখাতে ৪৩ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য খাতে ১৩ কোটি ভর্তুকি দিচ্ছে । এতে নগরবাসীর ৬০ হাজার সন্তান পড়ালেখা করছে এবং বছরে লক্ষাধিক নগরবাসী সুলভ মুল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছে।
মেয়র বলেন, দায়িত্ব পালন করতে গেলে নানামুখি চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়। তবে ধীরে ধীরে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হচ্ছে পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটছে ,এরই সাথে তাল মিলিয়ে নগরের সার্বিক উন্নয়ন চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন হোল্ডিং নম্বরের বিপরীতে প্রায় ১১ লাখ ৩২ হাজার টাকা নগদ এবং চেকের মাধ্যমে সিটি মেয়রের হাতে তুলে দেন সংশ্লিষ্টরা।
৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চসিকের ৮টি রাজস্ব সার্কেলে একযোগে এ পক্ষ উদযাপন করা হচ্ছে। হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় পক্ষ চলাকালীন হোল্ডিং মালিকরা নিজ নিজ ওয়ার্ডের আওতাধীন রাজস্ব সার্কেলগুলোতে সারচার্জ ছাড়া পৌরকর দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহেদ ইকবাল বাবু, কফিল উদ্দিন খান, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
এআর/টিসি