প্রথম রাউন্ড শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় রাউন্ডে ১৬ জনের মধ্যে থেকে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
খেলা পরিচালনা করছেন রেফারি সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মালেক।
এর আগে বিকেল সোয়া চারটায় বেলুন উড়িয়ে বলীখেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।
তিনি বলেন, আজকে চট্টগ্রামবাসীর জন্য আনন্দের দিন। যুবকদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য যে জব্বারের বলীখেলা শুরু হয়েছিল তা ১১০তম আসরে পা দিয়েছে। বর্তমান সরকারকে অনুরোধ জানাবো, এ খেলা যেন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার জন্য সাংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য । এ খেলার মাধ্যমে সকল প্রকার অপসংস্কৃতি বিলুপ্ত হবে। বাঙালির প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, জব্বারের বলী খেলা উপলক্ষে নিরাপত্তা কোনো ঘাটতি রাখা হয়নি। পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কাজ করছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করবেন মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথি থাকবেন গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার অ্যান্ড ডেপুটি সিইও ইয়াসির আজমান।
১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে এ প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। তার মৃত্যুর পর এ প্রতিযোগিতা জব্বারের বলীখেলা নামে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। প্রতি বছর ১২ বৈশাখ নগরের লালদীঘি মাঠে এ বলীখেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ খেলায় অংশগ্রহণকারীদের বলা হয় ‘বলী’। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘কুস্তি’ বলীখেলা নামে পরিচিতি।
এবার বলীখেলায় চ্যাম্পিয়নকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ট্রফি এবং রানারআপকে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ট্রফি দেওয়া হবে। অন্য বলীদের নগদ ১ হাজার টাকা ও একটি করে ট্রফি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
জেইউ/টিসি