ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম শিশু হাসপাতাল: দুই বছরেও মেলেনি জমি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৯
চট্টগ্রাম শিশু হাসপাতাল: দুই বছরেও মেলেনি জমি ....

চট্টগ্রাম: দুই বছরে একাধিক স্থান বাছাই করেও প্রস্তাবিত চট্টগ্রাম শিশু হাসপাতালের জন্য জায়গা নির্ধারণ হয়নি। সিভিল সার্জন অফিসসহ একাধিক সংস্থা কাজ করলেও এখনও এ হাসপাতাল নির্মাণের জন্য উপযুক্ত জায়গা পাওয়া যায়নি।

ফলে প্রশাসনিক অনুমোদন ও ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার পরও প্রকল্পটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৪ মে ২০০ শয্যার শিশু হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।

এর মধ্যে হাসপাতাল নির্মাণ ও জমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৩০ কোটি টাকা।

পরবর্তীতে জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে চিঠি দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

পাশাপাশি জমি সংস্থানের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালককেও দায়িত্ব দেওয়া হয়।

কিন্তু প্রকল্প মেয়াদের সাড়ে পাঁচ বছরের মধ্যে দুই বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও এখনো জমি নির্ধারণ সম্ভব হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটি শেষ করা যাবে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে দুই একর খাসজমি চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় সিভিল সার্জন। তবে জমিটি খাস হওয়ায় পুনরায় খাসজমির পাশাপাশি আংশিক ব্যক্তি মালিকানার জমি চিহ্নিত করতে বলে মন্ত্রণালয়। ওই সময় প্রস্তাবিত দুই একর জমির মূল্য ৪৫ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়।

অন্যদিকে চিঠি পেয়ে চমেক হাসপাতালের তৎকালীন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জালাল উদ্দিনও জমির খোঁজ করেন। তিনি রেলওয়ের দুটি জায়গা নির্ধারণ করে চিঠির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন। কিন্তু জটিলতার কারণে জায়গা দুটি গ্রহণ করছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে মো. জালাল উদ্দিন হাসপাতাল থেকে বিদায় নেওয়ায় কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাজধানী ঢাকায় একাধিক বিশেষায়িত হাসপাতাল থাকলেও বন্দরনগরীতে নেই কোনো বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র। ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম চট্টগ্রাম সফরকালে এখানে কোনো সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতাল না থাকার কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন।

ফলে এ অঞ্চলের প্রায় পাঁচ কোটি জনগোষ্ঠীর চিকিৎসার জন্য নির্ভর করতে হয় চমেক হাসপাতালের ওপর। কিন্তু হাসপাতালটিতে রোগীর বিপরীতে সুযোগ সুবিধা সীমিত। এজন্য স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের নাগরিকরা।

তবে নতুনভাবে আংশিক ব্যক্তি মালিকানা ও খাসজমির জমি চিহ্নিত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে নতুন খাসজমির পাশাপাশি আংশিক ব্যক্তি মালিকানার জমি চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি অনুমোদনও দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

‘বর্তমানে চিহ্নিত জমির ডিজিটাল জরিপ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ অধিদফতর, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৯
এসইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।