সবচেয়ে বেশি যে দুটি টিকিট বিক্রি হয়েছে তা শ্যামলী পরিবহনে। একটি টিকিট বিক্রি হয়েছে ইউনিক পরিবহনে আর সৌদিয়া পরিবহনের একটিও না।
চট্টগ্রাম: নগরের কোতোয়ালী থানার স্টেশন রোড। শ্যামলী, সৌদিয়া, হানিফ, ইউনিকসহ কয়েকটি পরিবহনের বাস কাউন্টার। সকাল ৯টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত চার ঘণ্টায় কোনো কাউন্টারে একটি, কোনো কাউন্টারে ২টি আর কোনো কোনো কাউন্টারে একটি টিকিটও বিক্রি হয়নি।
সবচেয়ে বেশি যে দুটি টিকিট বিক্রি হয়েছে তা শ্যামলী পরিবহনে। একটি টিকিট বিক্রি হয়েছে ইউনিক পরিবহনে আর সৌদিয়া পরিবহনের একটিও না।
তিনি জানান, শ্যামলী পরিবহনে ২ থেকে ৪ জুন প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০টি বাস চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে।
ননএসির টিকিট ফাঁকা থাকলেও এসি বাসের টিকিট তুলনামূলক বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন কর্মকর্তা।
নগরের গরিবউল্লাহ শাহ মাজার সংলগ্ন এসি বাস কাউন্টারে দেখা যায়, ননএসি বাসের মতো এখানেও কাউন্টার ফাঁকা। তবে বিকেলে ও সন্ধ্যার পর কিছু কিছু টিকিট বিক্রি হয় বলে জানান সোহাগ পরিবহনের কর্মকর্তা কাইয়ুম গাজী।
তিনি বলেন, আমাদের পরিবহনে ৩ ও ৪ জুনের টিকিট প্রায় বিক্রি হয়েছে। এখনও যে সিটগুলো খালি আছে তা শেষের দিকের। এগুলোও কয়েকদিন পর বিক্রি হয়ে যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেশিরভাগ টিকিট অনলাইনে নিয়ে নেন যাত্রীরা। এজন্য কাউন্টারে যাত্রী কম আসেন।
পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে চট্টগ্রাম থেকে নরসিংদী যাবেন নগরের চকবাজার এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম। ঈদের আগের দিন মহানগর এক্সপ্রেসে করে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল তার। কিন্তু চট্টগ্রাম স্টেশনে গিয়ে দেখেন ঈদের আগে এ ট্রেনের কোনো টিকিটই নেই। নিরুপায় হয়ে তিনি এসি বাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আবুল কালাম বলেন, আমার আত্মীয় কয়েকজন ট্রেনের টিকিট পেয়েছেন। আমিও পেতাম, কিন্তু অগ্রিম টিকিট দেওয়ার শেষের দিন দেরি করে কাউন্টারে যাওয়ায় টিকিট পাইনি। ট্রেনের টিকিট না পাওয়ায় মুলত বাসে করে যাওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
জেইউ/টিসি