আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারি বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মীর রুহুল আমিন বদলি হয়ে যান। কিন্তু তার পর থেকে এ আদালতে কোনো বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বর্তমানে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৭০০। এর মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে, মাদক আইনের মামলা রয়েছে প্রায় ৫০০।
এ আদালতে চলমান মামলাগুলোর ৬ মাস ধরে কোনো অগ্রগতি নেই। প্রতিবারই মামলার তারিখে নতুন তারিখ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা।
চট্টগ্রাম ছাড়াও বিভাগের অন্যান্য জেলাগুলো থেকে আসা বিচারপ্রার্থীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বেশি।
বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পেশকার মো. মুছা বাংলানিউজকে বলেন, এ আদালতে প্রায় ৭০০ বিচারাধীন মামলা রয়েছে। বিচারক না থাকায় বিচারকাজ থমকে আছে।
এ আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বিচারক না থাকায় বিচারপ্রার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। ৬ মাস ধরে বিচারক শূন্য থাকায় প্রতিবার এসে ফেরত যেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিচারাধীন মামলাগুলোর মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলা ও মাদক আইনে দায়ের করা মামলার সংখ্যা বেশি। এ আদালতে কক্সবাজারে সাবেক জেলা প্রশাসকের চিংড়ি ঘের নিয়ে দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ চলছে।
অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আশাকরি সরকার দ্রুত বিচারক নিয়োগ দিয়ে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি দূর করবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৯
এসকে/টিসি