বুধবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় নাগরিক উদ্যোগের আহ্বায়ক প্রফেসর ফজলুল হকের বাসভবনে এক সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার চট্টগ্রামের বিভিন্ন সেবা সংস্থাগুলোকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
নগরের বেশ কিছু এলাকায় এখনো প্রিপেইড মিটার স্থাপন না করায় গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উল্লেখ করেন তিনি।
সুজন বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নগরবাসীর ঘরে ঘরে সুপেয় পানি পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ওয়াসা নগরবাসীর সে চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এখনো নগরের কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ওয়াসার সংযোগ লাইন নেই। আবার দেখা যাচ্ছে যে সংযোগ লাইন থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে পানির সরবরাহ নেই। এতে করে সরকারের উন্নয়নের সুফল প্রাপ্তি থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। আবার কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়াই কেটে ফেলা হচ্ছে নগরীর সড়কগুলো। সিটি করপোরেশন নতুন রাস্তা নির্মাণ করে যাওয়ার পর ওয়াসা কেটে রাস্তাগুলোকে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলছে। ফলে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে রাস্তা কাটার বিকল্প নেই।
তবে একটি রাস্তা কেটে সে কাজটি পুরো শেষ না হওয়ার আগে অন্য রাস্তা না কাটার জন্য ওয়াসার এমডি’র নিকট আহ্বান জানান তিনি।
নগরীর গ্যাস সংকট নিরসন, গ্যাসের চাপ বৃদ্ধি এবং গ্রাহকদের মাঝে নতুন গ্যাস সংযোগ লাইন প্রদানের জন্য কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এলএনজি আমদানি করার পর নগরীর গ্যাস সংকট নিরসন হওয়ার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত নগরবাসী কাঙ্ক্ষিত গ্যাস সরবরাহ থেকে বঞ্চিত। বছরের পর বছর বিল পরিশোধ করে গেলেও অনেক এলাকায় চাহিদার অর্ধেক গ্যাসও পাওয়া যায় না। ফলে গৃহিণীদের গ্যাসের পাশাপাশি লাকড়ির চুলা এবং কেরোসিনের চুলার ওপর নির্ভর করে থাকতে হয়। এতে করে একদিকে ভোগান্তি বাড়ছে অন্যদিকে অর্থের অপচয় হচ্ছে। তাই নগরবাসীকে গ্যাসের ভোগান্তি থেকে মুক্ত করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেজিডিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
একই সঙ্গে গ্যাসের নতুন মূল্য বৃদ্ধি পুনর্বিবেচনা করার জন্যও সরকারের উচ্চমহলের নিকট আহবান জানান সুজন। জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে গা ঝাড়া দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চসিক মেয়র এবং চউক চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
প্রফেসর ফজলুল হকের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, মো. নিজাম উদ্দিন, সংগঠনের সদস্যসচিব মো. হোসেন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মোরশেদ আলম, মো. শাহজাহান, সমীর মহাজন লিটন, স্বরূপ দত্ত রাজু, জসীম উদ্দিন তালুকদার, মো. হোসেন, মীর মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, মো. মহসিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
এআর/টিসি