ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশ এখন ক্ষুধামুক্ত: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
দেশ এখন ক্ষুধামুক্ত: তথ্যমন্ত্রী বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

চট্টগ্রাম: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষুধা ও দারিদ্রতামুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা এখন দেশকে ক্ষুধামুক্ত করেছি। আগামী নির্বাচনের আগে দারিদ্র্য ১০ শতাংশে নেমে আসবে। ক্রমান্বয়ে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে।

শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে তথ্যমন্ত্রীর ঐচ্ছিক তহবিল থেকে ২৬১ জনকে আর্থিক অনুদান প্রদান এবং এডিপির অর্থায়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ২০০৮ সালে যখন সরকার গঠন করা হয় তখন বাংলাদেশের দারিদ্র্য ছিল ৪১ শতাংশ।

বর্তমানে সেটি কমে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। আগামী নির্বাচনের আগে দারিদ্র্য ১০ শতাংশে নেমে আসবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত করতে পেরেছি। দারিদ্র্য এখনো আছে তবে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ রচনা করতে পেরেছি। যেহেতু দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্য রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দেশের মানুষকে খাইয়ে খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকছে। সেজন্য আমরা বলতে পারি বাংলাদেশ এখন ক্ষুধামুক্ত অর্জন করেছে।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পূর্বিতা চাকমা, রাঙ্গুনিয়া পৌর সভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, মনোয়ারা বেগম।

উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিছ আজগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খায়রুল বশর মুন্সি প্রমূখ।  

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখন প্রকৃতপক্ষে বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করা লোক অনেকাংশে কমে গেছে।

তিনি বলেন, ঐচ্ছিক তহবিলের উপকারভোগী নির্বাচনে কারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন কারা দেননি তা বিবেচনা করা হয়নি। দারিদ্র্যকেই বিবেচনা করা হয়েছে। গত ১১ বছর ধরে প্রতিবছরই যিনি পাওয়ার যোগ্য তাকেই দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগেও রাঙ্গুনিয়ায় এমপি-মন্ত্রী ছিল, কিন্তু তারা এ ধরনের কোনো সুবিধা সাধারণ মানুষের নাগালে আনেননি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ক’দিন আগে বন্যায় রাঙ্গুনিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৮০ টন জিআরের চাল বিতরণ করা হয়েছে। যেসব রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো পুনঃনির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণসহ প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। শিলক খালের ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘পাঁচবছর ধরে যারা সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর না রেখে শুধু ভোটের আগে এসে রাজনীতি করেন তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।