শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর থেকে এ দুর্ভোগে পড়েন তারা। তবে প্রায় হাঁটু পরিমাণ এ পানিতে বিভিন্ন গুদাম ও দোকানে রাখা মালামালের তেমন ক্ষতি হয়নি।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় তারা নিজ উদ্যোগে দোকান-গুদামের প্রবেশমুখ ও তলা উঁচু করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাক্তাইয়ের চালপট্টি, শুটকিপট্টি, মকবুল সওদাগর রোড ও আছদগঞ্জ, হামিদউল্লাহ বাজার ও আশপাশের নিম্নাঞ্চল হাঁটু পর্যন্ত জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে জোয়ারের পানি প্রবেশের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এ নিয়ে প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন দফতরে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানালেও সাড়া পাইনি আমরা।
তিনি বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় দেশের বৃহত্তম পাইকারী বাজারের ঐতিহ্য হারাচ্ছে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ। জলাবদ্ধতা, যানজটসহ নানা কারণে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ক্রমবর্ধমান হারে ক্ষতির মুখে পড়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
‘আশা করবো, সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। জলাবদ্ধতা ও যানজট থেকে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জকে বাঁচাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। ’ যোগ করেন এ ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৯
এমআর/টিসি