শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান।
বক্তব্য দেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জহির আহমদ চৌধুরী, স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, শাহজাহান সিকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, ইদ্রিছ আজগর, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, সাদেকুন নুর সিকদার ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আরজু সিকদার।
অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মোহাম্মদ সেলিম, গিয়াস উদ্দিন খান স্বপন, ইকবাল হোসেন, আকতার হোসেন খান, মুজিবুল ইসলাম সরফী, জসিম উদ্দিন তালুকদার, নিজাম উদ্দিন বাদশা, কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাস্টার আসলাম খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন রিয়াজ, ছাত্রলীগ সভাপতি নুরুল আলম, তাঁতি লীগের আহ্বায়ক মোরশেদ তালুকদার প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে যখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। যে বছর বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় সেই বছর ২৬ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য অতিরিক্ত উৎপাদন হয়েছিল। খাদ্য ঘাটতি কাটিয়ে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে। যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সংকট কাটিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলো তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যদি তখন হত্যা করা না হতো তাহলে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে নাম লেখাতে সক্ষম হতো। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন শেখ হাসিনার নেতৃতে সেই স্বপ্ন পূরণের পথে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত হয়েছে। মানুষের তিনটি মৌলিক চাহিদা, অন্ন বস্ত্র বাসস্থান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্নের সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন সন্ধ্যার পর বাসি ভাত খোঁজা ভিক্ষুকের ডাক শোনা যায় না। বস্ত্রের সমস্যার সমাধানও হয়েছে। আগে ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যেতো, এখন তা দেখা যায় না। আগে বিদেশ থেকে পুরনো কাপড় আসতো সেটা হকার মার্কেট থেকে কিনে মানুষ পরতো। আর এখন বাংলাদেশ থেকে সেলাই করা নতুন কাপড় বিদেশে যায়, সেগুলো সেখানকার বড় বড় শপিংমলে বিক্রি হয়। আর বাসস্থান ছাড়া দেশে এখন কোনো মানুষ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯
এআর/টিসি