ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সড়কে ওয়াসার কোপ, রোগীদের বাড়ছে দুর্ভোগ

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯
সড়কে ওয়াসার কোপ, রোগীদের বাড়ছে দুর্ভোগ ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: নগরের মুরাদপুর-চকবাজার সড়কে ব্যাপক খোঁড়াখুঁড়ি করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। ওয়াসার পাইপলাইন স্থাপনের জন্য খোঁড়াখুঁড়ির কারণে যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসেও উড়ছে ধুলাবালি।

চকবাজার-মুরাদপুর সড়ক ব্যবহার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সেভরন, ফর্টিস, সার্জিস্কোপ, পার্কভিউ, ডেল্টা, একুশে, ডক্টরসসহ অন্তত ১৫টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের রোগীরা নিয়মিত যাতায়াত করেন।

গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে ওয়াসার ব্যাপক খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন তারাই।

দুর্ভোগের কবল থেকে রেহাই মিলছে না, স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদেরও।

ছবি: বাংলানিউজ

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নীতকরণ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় বহদ্দারহাট থেকে কাস্টমস মোড় পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।

এরই অংশ হিসেবে মুরাদপুর থেকে পাঁচলাইশ থানার মোড় ঘুরে অলি খাঁ মসজিদ পর্যন্ত স্থাপন করা হচ্ছে ৪৮ ইঞ্চির ট্রান্সমিশন পাইপলাইন। সড়কের নিচে পাইপলাইন স্থাপন করতেই এ এলাকায় ব্যাপক খোঁড়াখুঁড়ি করছে তারা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মুরাদপুর মোড়ে হাসিনা বেকারির সামনে দুটি স্কেভেটর দিয়ে সড়ক খোঁড়ছে ওয়াসার লোকজন। এতে মির্জাপুল পর্যন্ত পুরো সড়কের কার্পেটিং নষ্ট হয়ে বাতাসে উড়ছে ধুলাবালি।

মির্জাপুল থেকে কাতালগঞ্জ মসজিদ পর্যন্ত সড়কের খোঁড়াখুঁড়ি শেষ হলেও ওই স্থানে ফের কার্পেটিং করা হয়নি। ফলে সেখানেও যানবাহনের ধীরগতি এবং ধুলাবালি থেকে রেহাই মিলছে না নগরবাসীর।

একই দশা পাঁচলাইশ থানার মোড় থেকে লিটল জুয়েলস স্কুল এবং কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে অলি খাঁ মসজিদ পর্যন্ত এলাকার সড়কের।

দুর্ভোগ কমাতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছি

চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নীতকরণ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের পরিচালক আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নগরবাসীর কাছে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ করতেই ১১ কিলোমিটার এলাকায় ট্রান্সমিশন পাইপলাইন স্থাপন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পাপলাইন স্থাপন করার জন্য সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে, দুর্ভোগ হচ্ছে এটি ঠিক। তবে দুর্ভোগ কমাতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছি আমরা। ইতোমধ্যে প্রকল্পের অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। জানুয়ারির মধ্যে পুরো কাজ শেষ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
এসইউ/এমআর/এসকে/জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।