ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১২ কেজির কাতলা তিন তরুণের বড়শিতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
১২ কেজির কাতলা তিন তরুণের বড়শিতে ১২ কেজির কাতলা তিন তরুণের বড়শিতে

চট্টগ্রাম: সাত হাজার টাকায় বড়শির পাসে ১২ কেজি ওজনের কাতলা মাছ ধরা পড়েছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার একটি দীঘিতে। বড় মাছ পেয়ে দারুণ খুশি তিন ভাই-আবদুল নূর, আবদুল করিম, আবদুল মোনাফ।   

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) পোমরা শান্তির হাটের পূর্ব পাশে খয়েরের দীঘিতে মাছটি ধরা পড়ে।

রাউজান উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের শৌখিন মৎস্য শিকারি তিন ভাইয়ের মাছ ধরায় সহযোগিতা করে তাদের ভাগিনা মো. জামশেদ ও মো. জানু।

আবদুল মোনাফ বাংলানিউজকে জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে খবর পাই খয়েরের দীঘিতে বড়শি প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আমরা প্রথম দুই দিনের জন্য ১৫ হাজার টাকায় পাস সংগ্রহ করি।

এরপর বৃহস্পতিবারের জন্য আরেকটি পাস নিই ৭ হাজার টাকায়। তিন দিনই আমরা বড় মাছ পেয়েছি। তিনটি কাতলা পেয়েছি বড়। কাতলার ওজন ১২-১৫ কেজি। মৃগেল ৩ কেজি। রুই পেয়েছি দেড় কেজি ওজনের। তবে অংশগ্রহণকারী সবাই কিন্তু বড় মাছ ধরতে পারেনি।

নিজের বড়শিতে বড় মাছ ধরে খুশি তরুণ মৎস্য শিকারিরা। এক প্রশ্নের উত্তরে আবদুল করিম বাংলানিউজকে জানান, মাছ ধরার জন্য অনেক কৌশল রয়েছে। মাছের পছন্দের খাবার সম্পর্কে জানতে হয়। পানির কোন স্তরে কোন মাছের বিচরণ সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা হাটহাজারীর ফতেয়াবাদ চৌধুরী হাট থেকে মাছ ধরার উপকরণ সংগ্রহ করি। ১২-১৫ কেজি ওজনের কাতলা খুব বেশি বড় মাছ নয়। কাপ্তাই ও মহামায়া হ্রদ এলাকায় এর চেয়ে বড় কাতলা পাওয়া যায়।

বড়শি প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটির কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সবাই কম বেশি মাছ পেয়েছেন। তবে বড় মাছ পেয়েছেন হাতেগোনা কয়েকজন। একেকটি কাতলার ওজন ছিল ১২-১৫ কেজি। এগুলো অনেক পুরোনো মাছ। হতে পারে ২০১২-১৪ সালে ছাড়া হালদার পোনা বড় হয়েছে। এত দিন দীঘিতে লুকিয়ে ছিল।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা লটারির মাধ্যমে আসন বণ্টন করি। তাই যাদের ভাগ্য ভালো তারা বেশি মাছ পান।

বড়শি প্রতিযোগিতার মৌসুম হওয়ায় নগরের আগ্রাবাদ শেখ মুজিব সড়ক, বকশির হাটসহ বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরার উপকরণ, মাছের খাবার বিক্রি হচ্ছে।

হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরীয়া বাংলানিউজকে বলেন, হালদা নদীতে আমি নিজে ২৫ কেজি ওজনের কাতলা মাছ দেখেছি। তবে সেটি মা-মাছ। এটা প্রমাণিত যে হালদার পোনা দ্রুত বড় হয়। তাই সারা দেশের মাছচাষিদের কাছে এ পোনার কদর বেশি।

তিনি জানান, হালদার কাতলা মাছের পোনা এক বছরে আড়াই-তিন কেজি ছাড়িয়ে যায়। সম্প্রতি রাঙ্গুনিয়ার একজন শৌখিন মাছচাষি জানিয়েছেন তিনি যত্ন নেওয়ায় হালদার পোনা এর চেয়েও বড় হয়েছে। খয়েরের দীঘিতে যেসব বড় কাতলা পাওয়া গেছে সেটি হালদার পোনা হতে পারে। জাত, পরিবেশ, খাবার ও বয়সের ওপর নির্ভর করে মাছ বড় হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।