ক্রমে সেই অবস্থা স্তিমিত হয়ে শরৎ ফিরেছে তার আপন মহিমায়। এই নগরে শরতের প্রকাশ বলতে শুধু আকাশে সাদা মেঘের ভেলা।
চট্টগ্রাম: বৃষ্টির রেশ প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। আবহমান বাংলার প্রকৃতি এখন শুধু সুন্দরই নয়, স্নিগ্ধ কোমলও। আশ্বিনের প্রায় শেষ সময়। এবার বর্ষা এসেছিল বেশ দেরিতে। শরতের প্রথমার্ধ জুড়েই ছিল বৃষ্টির দাপট।
ক্রমে সেই অবস্থা স্তিমিত হয়ে শরৎ ফিরেছে তার আপন মহিমায়। এই নগরে শরতের প্রকাশ বলতে শুধু আকাশে সাদা মেঘের ভেলা।
নীল আকাশের পটভূমিতে সাদা মেঘের এই সন্নিবেশ রচনা করে এক সূচিস্নিগ্ধ আবেশ। পেঁজা পেঁজা মেঘের গায়ে কখনো দেখা মেলে কমলা, গোলাপি ও হলুদ রঙের আভা। সেই আভা মেখে নীড়ে ফিরে যায় পাখির ঝাঁক।
সবুজের ওপর ভেসে থাকা শরতের মেঘ কখনও প্রেমিকার মনে জাগায় বিরহ, প্রেমিকের কলমে ওঠে বিরহের কাব্য। হয়তো কবিগুরুও প্রকৃতির প্রেমে মজে লিখেছিলেন: ‘আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ার লুকোচুরি খেলা/নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা...’।
বিজ্ঞানের ভাষায়, মেঘ শিকার করা যায়। নদী-খাল ও বিলের পানি থেকে তৈরি বাষ্পের ঘনীভূত রূপ হলো মেঘ। যদি মেঘ নিংড়ে সব পানি বের করে নেওয়া যায়, তাহলে মেঘ উধাও হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা সহজ কাজ নয়।
চিলির প্রকৌশলীদের তৈরি ‘ক্লাউড ক্যাচার’ সেখানকার মরুভূমি অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়। আমেরিকার প্রকৌশলীরা নতুন প্রজন্মের ‘ফগ নেট’ তৈরি করেছেন। চক্রাকার পেঁচানো টাওয়ারে ঘন কুয়াশা ধরার জাল ব্যবহার করা হয়।
মেঘে পানির পরিমাণ নির্ভর করে মেঘখণ্ডের আয়তনের ওপর। আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামলে রাস্তা ঘাট ভেসে যায়। তার মানে আকাশ ভরা মেঘে প্রচুর পানি থাকে।
এক হিসাব অনুযায়ী বিশাল আকারের মেঘে ৫০ কোটি লিটারেরও বেশি পানি থাকে। তবে আকাশে যে ছোট ছোট মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ায়, তার মধ্যে একটি ৭৪৭ জেট বিমানের সমআয়তনের পানি থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
ইউডি/এসি/টিসি