রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে নগরের আউটার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট ফেয়ার (বিআইটিএফ) উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিএমসিসিআই) মাসব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে।
ফিতা কেটে মাসব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে চায় পূর্বভারতের ৫ কোটি মানুষ।
মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী কথাটা ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি। এখন শুনি প্রচারেই প্রসার। এ দুইটির মেলবন্ধন হচ্ছে চট্টগ্রাম।
তিনি বলেন, আমি ২৫ বছর ধরে তৈরি পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত। ৪৫ বছর ধরে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ৫৩ বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আমি ও বাবা মুক্তিযোদ্ধা। এটি আমার জন্য গৌরবের। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সোনার বাংলাদেশ। তাকে হত্যা করা হয়েছিল- এ স্বপ্ন যেন পূরণ না হয়।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা দেশের স্বাধীনতা চায়নি। ওইদিন জয়বাংলা স্লোগান স্তব্ধ করে দিয়েছিল। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর বিস্ময়। এটি সম্ভব করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধারণ করে তিনি উদয়াস্ত পরিশ্রম করছেন। ১০ মাসে ২৫-৩০টি দেশ ঘুরেছি। সবার প্রশ্ন বাংলাদেশের উন্নতির চাবিকাঠি কী? ২০২১ সাল হবে আমাদের মাইলস্টোন। ৬০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি টার্গেট।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, এ মেলার মাধ্যমে নগরে বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচিত হবে। দেশ এগিয়ে চলেছে, এটিই বাস্তবতা। ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির মূল শর্ত আইনশৃঙ্খলা। হলি আর্টিজান, শোলাকিয়ার মতো আরেকটি ঘটনা ঘটলে জাপানিসহ বিদেশিরা মুখ ফিরিয়ে নিত। অনেক পুলিশ সদস্য জীবন দিয়ে অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করেছে।
চট্টগ্রাম ব্যবসাবান্ধব নগর। কোনো দুর্বৃত্তের সাহস নেই কোনো ব্যবসায়ীকে হয়রানি, চাঁদা দাবি করার। আমরা ব্যবসায়ীদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো।
স্বাগত বক্তব্য দেন সিএমসিসিআই সভাপতি ও কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিএসসিসিআই সহ-সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী, আবদুস সামাদ লাভু, মেলা কমিটির আহ্বায়ক আমিনুজ্জামান ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন কোহিনূর শাকি ও বিশ্বজিৎ পাল। এবার টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি