এবার জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের সাজ্জাদানশিন আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজিআ)। উপস্থিত থাকবেন শাহজাদা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ ও আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামেদ শাহ (মজিআ)।
জামেয়া আহমদিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ থেকে সকাল ৯টায় জুলুস বের হবে। বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, প্যারেড কর্নার, সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, আন্দরকিল্লা, চেরাগি পাহাড়, প্রেসক্লাব, কাজীর দেউড়ি, আলমাস, ওয়াসা, জিইসি, মুরাদপুর হয়ে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে মিলিত হবে।
রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন আনজুমানের উপদেষ্টা, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আনজুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসীন সেক্রেটারি জেনারেল আনোয়ার হোসেন, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, আনজুমানের এডিশনাল সেক্রেটারি শামসুদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন মো. শাকের, অধ্যাপক দিদারুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার প্রমুখ।
সুফি মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য জশনে জুলুসের মতো একটি নির্মল ইসলামি সংস্কৃতির প্রবর্তক হিসেবে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহির প্রতি শোকরিয়া জানাচ্ছি। ১৯৭৪ সাল থেকে তার নির্দেশেই এদেশে জশনে জুলুস নামে একটি গতিশীল ইসলামি সংস্কৃতি সর্বপ্রথম চালু হয়। এরপর থেকে ১২ রবিউল আউয়াল চট্টগ্রামে ও ৯ রবিউল আউয়াল ঢাকায় জুলুস বের হচ্ছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের প্রথম জুলুসটি বের হয় বলুয়ার দীঘি খানকাহ শরিফ থেকে নূর মুহাম্মদ আল কাদেরির নেতৃত্বে। ঢাকায় প্রথম জুলুস হয় কায়েৎটুলিস্থ খানকাহ শরিফ থেকে।
তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় চট্টগ্রামের জশনে জুলুস গিনেস বুক রেকর্ডে স্থান পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি