আহত হামিদ দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন দুর্ঘটনাকবলিত ‘বড়ুয়া ভবনের’ অদূরে একটি বাসায়। পরিবারের একজন উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে এমন অবস্থায় দেখে হতবাক হামিদের স্ত্রী।
চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে চিকিৎসাধীন স্বামীর পাশে বসে আছেন তিনি। কিছুক্ষণ পরপর আঁচল দিয়ে মুছছেন চোখ আর বিড়বিড় করেন কি যেন।
সংকটাপন্ন অবস্থা দেখিয়ে হামিদের স্ত্রী বাংলানিউজকে বলেন, ‘ছোট দুই মেয়েকে রেখে হাসপাতালে স্বামীর চিকিৎসায় পড়ে আছি। সুস্থ শরীরে বের হয়েছিল মানুষটি। ঘণ্টাখানেক পরে একজন ফোন করে জানালেন তিনি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। এসে দেখি এই অবস্থা। ’
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকে কাউকে চিনতে পারছেন না। চিকিৎকরা ওষুধ দিয়েছেন, ঘুমিয়ে পড়েছেন। ’
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের উপ পরিচালক আখতারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘হামিদ নামের ক্যাজুয়ালিটিতে ভর্তি রোগীর বুকে ক্ষত রয়েছে। ধারণা করছি রোগীর ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। এখনো বিপদমুক্ত নয়। রোগীর অবস্থা দেখে পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়া হবে। ’
বাংলাদেশ সময় ১৮৫২ ঘন্টা, ১৭ নভেম্বর ২০১৯
জেইউ/টিসি