রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ও বিকেলে দুই দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, আলামত সংগ্রহ, ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণ করে কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সৈয়দ আবু নসর মো. সালেহ বাংলানিউজকে বলেন, চুলার ওপর পাতিল এবং সেই পাতিলে এখনো তরকারি অক্ষত আছে। দেয়ালে টাঙানো রশিতে ঝুলছে কাপড়।
তাহলে এত শক্তিশালী বিস্ফোরণ কীভাবে ঘটলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা উড়ে গেছে। ওই ট্যাংক থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কেজিডিসিএল ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি কাজ শুরু করেছে। এরপর বিস্তারিত বলতে পারবো। প্রাথমিকভাবে আমরা বলতে পারি, গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে এ ঘটনা ঘটেনি।
তবে রাতে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, গ্যাসলাইনের রাইজারটা ছিল মরিচায় ভরা, অনেক পুরনো। হতে পারে এ রাইজার থেকে গ্যাস লিক হয়ে বাসার কক্ষগুলো গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছিল। সকালে বাসার একজন সদস্য দিয়াশলাইয়ের (ম্যাচ) কাঠি জ্বালানোর পরই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেপটিক ট্যাংক আমরাও দেখেছি। কিন্তু সেটি একেবারে ভর্তি ছিল।
বিস্ফোরণে আহত অর্পিতা নাথের সঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কথা বলেছেন সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, ওই বাসায় দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়েছে।
পাথরঘাটার বড়ুয়া ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত নারী শিশুসহ ৭ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে এক নারীর মুখমণ্ডল আগুনে ঝলসে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
এআর/টিসি