বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালায় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ। এসময় রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও পাহাড়তলী থানার বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
অভিযান চালিয়ে ভেলুয়ার দিঘীর আশেপাশে ৬০০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ৪ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়।
রেলওয়ের সূত্র জানায়, ১৯৮২ সালে দীঘিটির দক্ষিণ পাশে পাহাড়তলী বাজারের জন্য কয়েকটি দোকান ইজারা দেয় রেলওয়ে।
জানা গেছে, দোকান ও ঘরবাড়ি মিলিয়ে অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা প্রায় কয়েক হাজার। দীঘির উত্তর পাশে অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে আধা পাকা দোকান ও ঘরবাড়ি। পূর্ব পাশে রয়েছে কাঁচা ও আধা পাকা ঘর। দক্ষিণ পাশেও ইজারা নেওয়া দোকানগুলোর পেছনে দীঘির পাড় দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে সারি সারি গুদামঘর।
সম্প্রতি সেখানে অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখল ও ইজারায় অনিয়ম পায় দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক)।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, ভেলুয়ার দীঘি সম্পূর্ণ দখলমুক্ত করতে তিন-চারদিন লাগবে। একদিনে ৬০০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়েছে। আরও বহু অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। তবে দীঘিটি দখলমুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
জেইউ/টিসি