ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাকলিয়াকে মডেল টাউন করতে ২৫০ কোটি টাকার প্রকল্প

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
বাকলিয়াকে মডেল টাউন করতে ২৫০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করছেন আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম: সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বাকলিয়াকে মডেল টাউন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে সিটি করপোরেশন। এ লক্ষে পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ বাকলিয়ায় রাস্তা উঁচু করা, ফুটপাত ও কালভার্ট নির্মাণ এবং রাস্তা সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে প্রায় ১’শ ৫০ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরও ১’শ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের আবদুল লতিফ হাট ব্রিজের ফলক উন্মোচন এবং পূর্ব বাকলিয়ার ২১টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ উদ্বোধনকালে মেয়র এ কথা বলেন।

পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে গৃহীত প্রকল্পের মধ্যে বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ৬টি প্রকল্পের ব্যয় ২২ কোটি ৯২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, প্রধান সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২টি প্রকল্পের ব্যয় ৯ কোটি ২০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা, সড়ক নেটওয়ার্ক এবং বাস-ট্রাক টামির্নাল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৩টি প্রকল্পের ব্যয় ২০ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, বারইপাড়া খাল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৯টি প্রকল্পের ব্যয় ৫৫ কোটি ২ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং মিয়াখান নগর রোডের উন্নয়ন প্রকল্প ব্যয় ২ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১০৯ কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।

সিটি মেয়র নাছির বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে আন্তরিক। তাই তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, টিএন্ডটি, বিদ্যুৎ এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি করপোরশেনকেও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিয়েছেন।

বারইপাড়া খাল নির্মাণ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এ বারইপাড়া খাল প্রকল্পটি নান্দনিক দিক বিবেচনায় খালের দু’পাশে প্রয়োজনীয় বাড়তি জায়গা অধিগ্রহণ করে ওয়ার্কওয়ে নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬৫ ফুট প্রশস্থ নতুন খাল খননকালে এর দু’পাশে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ করা হবে। দু’পাশে ২০ ফুট করে সড়ক ও ৬ ফুট করে ওয়ার্কওয়ে থাকবে। এখানে আরো থাকবে মিড আইল্যান্ড, বসা ও বিনোদনের ব্যবস্থাও। এক কথায় বারইপাড়া খাল খননটি বিদেশের আদলে একটি নান্দনিক এলাকা হিসেবে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, খাল খননের জন্য যেসব ভূমি মালিকের অধিগ্রহণ করা হবে তাদের টাকা যথাযথ প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত মূল্যের তিনগুণ নির্ধারণ করে পরিশোধ করা হবে। এ ক্ষেত্রে একচুল পরিমাণ অনিয়মের কোন সুযোগ থাকবে না। কোন ভূমি মালিকের কোন ভবন যদি প্রকল্পের প্রস্তাবিত এলাইনমেন্টের মধ্যে পড়ে, তবে তাদেরকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নিয়মানুসারে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

উদ্বোধনকালে কাউন্সিলর হারুন উর রশিদ, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারজানা পারভীন, সাবেক কমিশনার মো. ইসহাক, মো. জসিম উদ্দিন, জালাল উদ্দিন ইকবাল, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমেদ ইলিয়াছ, অ্যাড. মো. ইউসুফ, সৈয়দ কুতুব উদ্দিন, ইয়াকুব সওদাগর, হাজী আবদুল করিম, মো. সেকান্দর ও চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯

জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।