বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে মঈনউদ্দীন খান বাদল স্মরণে শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত এক দশকে সংসদেও একজন পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে বাদল যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেন।
বাদলের তেজস্বী ও যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য মানুষকে উদ্বেলিত করতো- মন্তব্য করে নুরুল আম্বিয়া বলেন, শেষ জীবনে কালুরঘাট এলাকায় একটি রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণের দাবিতে গণআন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন এবং ঘোষণা দিয়েছিলেন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ কার্যক্রম দৃশ্যমান না হলে আগামী ডিসেম্বরে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ডিসেম্বরের আগেই তিনি পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিলেন।
সভায় জাসদের কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইন্দুনন্দন দত্ত বলেন, জাসদ মুক্তিযুদ্ধের ফসল স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল। জাসদ বাংলাদেশের জাতীয় অনেক রাজনৈতিক স্লোগানের স্রষ্টা। জাতীয় রাজনীতিতে জাসদ অনেক সূর্য সন্তান সৃষ্টি করেছে। মঈন উদ্দীন খান বাদল জাসদ পরিবারেরই সৃষ্ট জাতীয় রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের দাবি নিয়ে এখানকার আর কোনও নেতাকে সংসদে সোচ্চার হতে দেখা যায়নি। সংসদের ভিতরে ও বাহিরে চট্টগ্রামবাসীর স্বার্থ নিয়ে বাদলের সিংহের মত গর্জন আর শোনা যাবে না। বাদল ছিলেন আপাদমস্তক একজন গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিবিদ। তার প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিক সদাচার প্রশংসার দাবিদার।
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, একটি গণমুখি কর্মসূচির ভিত্তিতে জাসদ পরিবারকে এক হতে হবে। তবেই মুক্তিযোদ্ধা বাদলের প্রতি সঠিক শ্রদ্ধা জানানো হবে।
বাংলাদেশ জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ কাশেমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন নাসিরুল হক, নুরুল আলম মন্টু, ফাহিম উদ্দীন, গোলাম জিলানী চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, ভানুরঞ্জন চক্রবর্তী, মোজাহারুল হক শাহ চৌধুরী, জসিম উদ্দীন বাবুল, হারিছ চৌধুরী, রাজেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী, অধ্যাপক দিলীপ কান্তি দাশ, সিরাজুল ইসলাম রাজু, আবু বক্কর সিদ্দিকী ও ইমতিয়াজ উদ্দীন পাশা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
এসি/টিসি