বোয়ালখালী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, বায়েজিদ আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হতে মরিয়া একঝাঁক প্রার্থী। তাদের পক্ষে বিভিন্ন স্থানে পোস্টার, ব্যানার-ফেস্টুনও লাগিয়েছে অনুসারীরা।
জানা গেছে, প্রয়াত মঈন উদ্দীন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, সাবেক মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
সংবিধান অনুযায়ী, কোনো আসন শূন্য হলে, শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে ভোটের আয়োজন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তাই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০২০ সালের মধ্য জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ-নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথমবারের মতো এই উপ-নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে জানা গেছে।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ১৩ জানুয়ারি সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্র অনেকটা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনে ভোটকক্ষ ছিল ৮৫০টি। ভোটার সংখ্যা ছিল চার লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৬ জন। বোয়ালখালী (শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন ছাড়া) ও নগরের ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে এই সংসদীয় আসন।
২০০৮ সাল থেকে তিনবার এই আসনে ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেছিলেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দীন খান বাদল। ভারতের বেঙ্গালুরুতে নারায়ণ হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
এসি/টিসি