বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের আইসিটি শাখার প্রোগ্রামার সৈয়দ মোহাম্মদ অলিউর রহমানের সই করা চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা ২০১৯-২০ এর কার্যক্রম নং-৯.১ অনুযায়ী তিনজনকে শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবক নির্বাচিত করা হয়েছে।
আগামী রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত থেকে পুরস্কার গ্রহণের অনুরোধও জানানো হয়েছে চিঠিতে।
বাকি দুইজন শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবক হলেন চট্টগ্রামের মেরিন একাডেমির ডেপুটি কমান্ড্যান্ট ক্যাপ্টেন কাজী এবিএম শামীম ও নৌ পরিবহন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সরকার।
বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, ডিজিটাল অনলাইন বার্থিং মনিটরিং সিস্টেমে বিদেশ থেকে বহির্নোঙরে জাহাজ আসার পর মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানাবে। এরপর ফিরতি এসএমএসে কখন, কোন বার্থে জাহাজটি ভিড়বে, বন্দরের পাইলট কখন জাহাজে উঠবে ইত্যাদি প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। এর ফলে বার্থিং মিটিংয়ের আর প্রয়োজন হবে না।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ, অটোমেশন এবং বেটার সার্ভিস প্রোভাইডের লক্ষ্যে নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবন করা হয়েছে।
২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ এসেছিলো ৩ হাজার ৭৪৭টি। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮০৭টি। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের দাবি হচ্ছে-বহির্নোঙরে জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় কমানো, আধুনিক হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্টের মাধ্যমে জাহাজ থেকে দ্রুত পণ্য বা কনটেইনার উঠানো-নামানো, কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমানো ইত্যাদি। ডিজিটাল অনলাইন বার্থিং মনিটরিং সিস্টেম এসব ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এআর/টিসি