চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত ডিসেম্বর মাসে যত রোগী ভর্তি হয়েছে চলতি বছরের প্রথম সাত দিনেই চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় সমানসংখ্যক রোগী। গত এক সপ্তাহে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭১ জন।
এদিকে চমেক হাসপাতালে রোগীর উপচেপড়া ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। প্রায় প্রতিটি ইউনিটে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। শুধু চমেক হাসপাতাল নয়, নগরের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালেও প্রায় একই অবস্থা। প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই রয়েছে শিশু রোগীর ভিড়।
আয়েশা আক্তার তিন মাস বয়সী কন্যাকে নিয়ে আছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার মেডিক্যালে পাঠিয়ে দেন। এখানে ডাক্তাররা দেখে জানিয়েছেন- নিউমোনিয়া। কয়েকদিন ধরে চিকিৎসা চলছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তীব্র শীত ও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে তারা সহজেই রোগাক্রান্ত হয়। এ সময় শিশুদের নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, জ্বর ও ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। গত এক সপ্তাহ ধরে শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের তিনটি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি