শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে এসব স্কুলবাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
আরও খবর>>
** চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার
উদ্বোধনের পর রোববার থেকে চট্টগ্রামের দুইটি রোডে স্কুলবাস শিক্ষার্থীদের বহন করা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু হাসান সিদ্দিক।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মর্নিং ও ডে শিফটের স্কুল সময়সূচির সঙ্গে মিল রেখে দুটি রোড ঠিক করা হয়েছে। এসব রোডে রোববার থেকে নির্ধারিত সময়সূচিতে স্কুলবাস চলাচল শুরু হবে।
মো. আবু হাসান সিদ্দিক বলেন, নগরের সরকারি-বেসরকারি সব স্কুল শিক্ষার্থী পরিচয় পত্র দেখিয়ে বাসে চলাচল করতে পারবে। মাত্র ৫ টাকা ভাড়ায় যে কোনো স্টপেজে নামতে পারবে তারা।
‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভাড়া সংগ্রহের জন্য বাসে কোনো লোক থাকবে না। একটি নির্ধারিত বক্সে শিক্ষার্থীরা ভাড়া জমা দেবে। প্রতিটি বাসে ৪টি করে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। বাসের সব কার্যক্রম সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। ’
জেলা প্রশাসন ও বিআরটিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা নববর্ষের উপহার হিসেবে ১০টি স্কুলবাস প্রদান করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়ে বিআরটিসি থেকে ১০টি ডাবল ডেকার বাস চট্টগ্রামে পাঠানো হলেও বাস চলাচলের রোড, ভাড়া আদায়ের কৌশল এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচের যোগান নিয়ে জটিলতায় বাস সড়কে নামানা সম্ভব হয়নি।
আগস্টে জেলা প্রশাসন, বিআরটিসি এবং শিক্ষা প্রশাসনের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে নগরের বহদ্দারহাট-চকবাজার-জামালখান-কোতোয়ালী-কলেজিয়েট স্কুল সড়ক এবং অক্সিজেন-মুরাদপুর-জিইসি-টাইগারপাস-আগ্রাবাদ-বারিক বিল্ডিং সড়কে মর্নিং ও ডে শিফটের স্কুলের সময়সূচির সঙ্গে মিল রেখে স্কুলবাস চলাচলের রোড নির্ধারণ করা হয়।
তবে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ নিয়ে জটিলতায় ফের আটকে যায় স্কুলবাসের সড়কে নামার দিনক্ষণ। পরে স্পন্সর নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ মেটাতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা দেয় জেলা প্রশাসন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত তৈরির প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাতের সঙ্গে স্পন্সর চুক্তি সই করা হয়।
চুক্তি অনুযায়ী ১০টি স্কুলবাসের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাবদ দুই বছরে ১ কোটি ২০লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেবে জিপিএইচ ইস্পাত। অন্যদিকে স্কুলবাসে থাকবে জিপিএইচ ইস্পাতের বিজ্ঞাপন।
২০১৮ সালে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা স্কুলবাস চালুসহ ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন। ওই সময় জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে এসব দাবি দ্রুত পূরণের আশ্বাস দেন।
এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের জন্য বিআরটিসি বাস বরাদ্দের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে চিঠি দেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন। এপ্রিলে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য ১০টি বিআরটিসি বাস বরাদ্দ দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এমআর/টিসি