শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে ২৮জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে শহীদজননী জাহানারা ইমাম সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যাপিত জীবনে লালন করতে হবে এবং পালন করতে হবে।
সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের ৮ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি।
অনুষ্ঠানে মেয়রের হাত থেকে ২৮ জন মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারের পক্ষে ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমাম সম্মাননা স্মারক’ গ্রহণ করেন (মরণোত্তর) মুক্তিযোদ্ধা ও শ্রমিক নেতা রহমত উল্ল্যাহ চৌধুরীর সন্তান সুমন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ডা. এম এ মান্নানের সন্তান পারভেজ মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিক কাজী ইনামুল হক দানুর সন্তান কাজী রাজিশ ইমরান, মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস খানের সন্তান সরোয়ার খান, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিক মঈনুদ্দিন খান বাদলের ভাই অ্যাডভোকেট সেলিম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিক ইদরিস আলমের সন্তান ইফতেখারুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা ও শ্রমিক নেতা নূর আহম্মেদের স্ত্রী সামশুন নাহার, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিক এ কে ফজলুল হকের সন্তান শওকত আল আমিন, মুক্তিযোদ্ধা ও সাহিত্যিক শওকত হাফিজ খান রুশ্নির সহযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা কবি সাথী দাশ।
জীবিতদের মধ্যে অন্যতম সংবিধান প্রণেতা মুক্তিযোদ্ধা আবু ছালেহ, শব্দসৈনিক আমিনুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সৌরীন্দ্রনাথ সেনের ভাই স্বপন সেন, মহানগর পিপি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা জামাল আহমেদ ফকির, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি জেলা সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা
ড. শিরীণ আখতার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ একটি অবিরাম প্রক্রিয়া। গণমানুষের সার্বিক ক্ষেত্রে মুক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে। জামাত-বিএনপি তথা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তিকে মূলত: মানসিক যুদ্ধে পরাজিত করতে হবে। তাদের যে অপচেতনা তা সচেতন জনগণের মন থেকে মুছে দিতে হবে।
প্রধান বক্তা লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি বলেন, বিভক্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে যেকোন মূল্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাতির দুঃসময়ে ব্যানারবাজির রাজনীতি পরিহার করে সত্যিকার অর্থে জনগণের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে রাজপথে অবস্থান নিতে হবে, আর এটি সম্ভব মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুর্ননির্মাণের মধ্য দিয়ে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কার্যকরি সাধারণ সম্পাদক মো. অলিদ চৌধুরী সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর রেখা আলম চৌধুরী, সহ-সভাপতি দীপঙ্কর চৌধুরী কাজল, মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ চৌধুরী ভাস্কর, এ.কে.এম জাবেদুল আলম সুমন, আবদুল মান্নান শিমুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক চৌধুরী, সুমন চৌধুরী, মিথুন মল্লিক, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রুবা আহসান, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সূচিত্রা গুহ টুম্পা প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন অবিনাশী ৭১ সভাপতি সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, আসাদুজ্জামান খান, জুলকারনাইন সুমন, নিজাম উদ্দিন সুলতান, সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত মো. সায়েম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জেবিন, মো. সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২০
জেইউ/টিসি