ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সরিষা চাষে লাভবান রাউজানের কৃষকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
সরিষা চাষে লাভবান রাউজানের কৃষকরা রাউজানে সরিষা চাষাবাদ।

চট্টগ্রাম: রাউজানে কৃষকদের মাঝে সরিষা চাষাবাদে আগ্রহ বাড়ছে। জমি থেকে আমন ধান কেটে নেওয়ার পর গত কয়েক বছর ধরে কৃষকরা সেখানে সরিষা চাষ করছেন।

রাউজান কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ‘বারি ১৪’ জাতের সরিষার ক্ষেত ৪০ হেক্টর, ‘বারি ১৫’ জাতের সরিষা ক্ষেত ১৫ হেক্টর, ‘বিনা-৯’ জাতের সরিষা ক্ষেত ৫ হেক্টর ও ‘টরি-৭’ জাতের ৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদ করা হয়েছে।

উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজীব কুমার সুশীল জানান, এবছর ১০৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ করা হয়েছে।

এলাকার ৫শ জন কৃষকের কাছে সরিষা ক্ষেতের প্রদর্শনী কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে সরিষার বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এবার রাউজানে ১৫০ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদিত হবে বলে আশা করছেন তিনি।

উপজেলার ডাবুয়া, নোয়াজিশপুর, হলদিয়া,  চিকদাইর, কদলপুর ও রাউজান ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন হলুদ রঙের সরিষা ফুলের ছড়াছড়ি।

পশ্চিম ডাবুয়ার কৃষক মজনু মিয়া জানান, আমন ধান কেটে নেওয়ার পর ৪০ শতক জমিতে সরিষা চাষ করেছি। বর্তমানে প্রতি কেজি সরিষা বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়।  

জানা গেছে, ডাবুয়া খালের পাশে জমিতে, আলীর খীল, রামনাথ পাড়া, লাঠিছড়ি, হিংগলা, দক্ষিণ হিংগলা, কলমপতি, উত্তর সর্তা, গর্জনিয়া, হচ্ছার ঘাট, এয়াছিন নগর, জানিপাথর, দক্ষিণ সর্তা, পাঠান পাড়া, ফতেহ নগর, নদীমপুর, গহিরার দলই নগর, পৌর এলাকার সাহানগর, পশ্চিম সুলতানপুর, শরীফপাড়া, পূর্ব রাউজান, শমশের নগর, কেউটিয়া, কদলপুরসহ অনেক এলাকায় কৃষকরা অল্প খরচে সরিষা চাষ হয়েছে লাভবান হচ্ছেন। কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে তাদের  পরামর্শ দিচ্ছেন।

এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে একসময় রাউজানের কয়েকটি স্থানে সরিষাক্ষেতে কাঠবাক্সের সাহায্যে মধু সংগ্রহ করা হতো। তবে বর্তমানে রানী মৌমাছির সংকটের ছিল তা করা যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।