সোমবার (২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় উত্তর কাট্টলীর বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সুজন বলেন, নগরের অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হচ্ছে সল্টগোলা ক্রসিং থেকে পতেঙ্গা।
অনেক ক্ষেত্রে প্রসূতিদের রাস্তায় সন্তান প্রসবের মতো আস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখেও পড়তে হয়। দিনের পর দিন এ অবস্থা চলতে থাকলেও বস্তুত এ এলাকার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য কার্যত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ সল্টগোলা ক্রসিং মোড়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি বিশাল বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে যা মোটেও কাম্য নয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া বন্দর এলাকা হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নির্মিত ভবন এলাকাটিতে সবসময় ট্রাফিক জ্যাম লেগেই থাকে। তাই চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে সবিনয় আবেদন জানাবো অতিসত্বর উক্ত বাণিজ্যিক স্থাপনাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিকট হস্তান্তর করা হোক। যাতে ঐ এলাকায় বসবাসরত বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত স্বাস্থ্যসেবার সুফল পেতে পারে। তিনি মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে চট্টগ্রামের বন্দর-পতেঙ্গা এলাকায় একটি মাতৃসদনসহ সম্মিলিত হাসপাতাল চালু করার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
সুজন বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর ধরে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ২৫০০ আবাসিক এবং ১০০ বাণিজ্যিক গ্রাহকের টাকা নিয়ে কাঙ্ক্ষিত গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে না যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশে এলএনজি আমদানি করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে যাওয়া এলএনজি’র লাইনের মাধ্যমে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস সারা দেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। অথচ ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন গ্যাস চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হলে চট্টগ্রামবাসী গ্যাসের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতো। তিনি অতিসত্বর চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনা করে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক খাতে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এখনো ওয়াসার গড়বিল প্রদান বন্ধ হচ্ছে না। এতে করে গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়ছে। তিনি গ্রাহকদের সুবিধার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নগরে পুনরায় ওয়াসার প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরুর আহ্বান জানান।
নগরে লেখাপড়া ও জীবিকার তাগিদে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বসবাসের সুবিধার্থে একটি বড় ডরমেটরি স্থাপন এবং সদরঘাট থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত লঞ্চ সার্ভিস চালুরও আহ্বান জানান তিনি।
ঐতিহাসিক ঐতিহ্য চট্টগ্রাম সাকির্ট হাউস সংলগ্ন শিশুপার্ক নামের জঞ্জালটি সরিয়ে ফেলার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ঘোষণা করা হবে।
নাগরিক উদ্যোগের সদস্যসচিব মো. হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন হাজি মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মো. নিজাম উদ্দিন, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, মো. শাহজাহান, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, শিশির কান্তি বল, শেখ মামুনুর রশীদ, এএসএম জাহিদ হোসেন, অনির্বাণ দাশ, সমীর মহাজন লিটন, সোলেমান সুমন, সাইফুল্লাহ আনছারী, জাহাঙ্গীর আলম, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, রকিবুল আলম সাজ্জী, এম ইমরান আহমেদ ইমু, মো. ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, মনিরুল হক মুন্না প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
এআর/টিসি