সোমবার (৯ মার্চ) বিকেলে নগরের ৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ডের কালুরঘাট সেতুর পাশের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
মো. আলম চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এম রেজাউল করিমের পক্ষে একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে ৩ মিটারের বড় রঙিন ব্যানার টাঙিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনীক।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী রঙিন ব্যানার-পোস্টার ছাপিয়ে প্রচারণা এবং নির্দিষ্ট আকারের চেয়ে বড় ব্যানার-পোস্টার ছাপিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালানো অপরাধ।
‘সোমবার অভিযান চালিয়ে চান্দগাঁও, মোহরা এবং পূর্ব ষোলশহর এলাকা থেকে বেশ কিছু রঙিন ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। মোহরা ওয়ার্ডে একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ’
এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে নগরের ডবলমুরিং ও বন্দর এলাকায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ শিকদার।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, সোমবারের অভিযানে ডবলমুরিং ও বন্দর এলাকায় বেশকিছু রঙিন ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট আকারের চেয়ে বড় সাদা-কালো ব্যানার-পোস্টার দিয়ে প্রচারণা বন্ধ করতে প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সতর্ক করা হয়েছে।
‘প্রচারণা মাত্র শুরু হলো। প্রথমদিকে আমরা সতর্ক করছি। সচেতন করার চেষ্টা করছি। তবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’ যোগ করেন প্রশাসন ক্যাডারের এ কর্মকর্তা।
এ দুই ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও সোমবার চট্টগ্রাম নগরে আরও ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট চসিক নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এর মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক ডবলমুরিং ও বন্দর এলাকায়, গালিব চৌধুরী ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকায়, কাজী তাহমিনা শারমিন পাহাড়তলী ও ডবলমুরিং এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অন্যদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ কোতোয়ালী ও ডবলমুরিং এলাকায়, মাসুদুর রহমান পাহাড়তলী এলাকায় এবং আশিক-উর-রহমান পাঁচলাইশ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযানে রঙিন ব্যানার-পোস্টার অপসারণসহ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে সতর্ক করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
এমআর/টিসি