চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুকের কাছে জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে বলেন, আমদানি পণ্যভর্তি কনটেইনার ডেলিভারি নিতে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন বিশেষ করে চেম্বার, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বন্দরের ইয়ার্ডে, টার্মিনালে যেখানে যেখানে খালি জায়গা আছে সেগুলো দ্রুত অপারেশনাল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে।
বন্দরের পাশাপাশি কনটেইনার জট কমাতে হিমশিম খাচ্ছে বেসরকারি আইসিডি বা অফডকগুলো। সূত্র জানায়, বুধবার ১৮টি অফডকে কনটেইনার ছিলো ৬১ হাজার ৫০০টি। এর মধ্যে ৪২ হাজার ৫১০টি খালি কনটেইনার। রফতানি পণ্যভর্তি কনটেইনার ছিলো ৯ হাজার ৮৫০টি।
বন্দরের পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বন্দর থেকে ডেলিভারি হয়েছে ১ হাজার ৯০৫ টিইইউ’স (২০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনার)। আগের দিন এটি ছিলো ১ হাজার ৭০৮ টিইইউ’স। বন্দরে মোট জাহাজ রয়েছে ৭৮টি। এর মধ্যে বহির্নোঙরে ৫২টি জাহাজে খোলাপণ্য খালাস হচ্ছে। অপেক্ষমাণ ছিলো ৬টি কনটেইনারবাহী জাহাজসহ ২৬টি। এ ছাড়া মেইন জেটিতে ৮টি কনটেইনারবাহী জাহাজে লোড-আনলোড হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দেশের সাপ্লাই চেন স্বাভাবিক রাখতে ২৪ ঘণ্টা অপারেশনাল কার্যক্রম চালু রেখেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
এআর/টিসি