ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অফডকে নতুন পণ্য খালাসের অনুমোদন পেলে বাঁচবে বন্দর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২০
অফডকে নতুন পণ্য খালাসের অনুমোদন পেলে বাঁচবে বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর। ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম: বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোতে (অফডক) নতুন পণ্য খালাসের অনুমোদন দিলে এ যাত্রায় দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের কনটেইনার জট কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কনটেইনারে আসা পণ্যের ৯৮ শতাংশ আমদানি হয়। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টানা সরকারি ছুটির কারণে ডেলিভারি কমে এক চতুর্থাংশে নেমে আসে।

এতে বন্দরের কনটেইনার ধারণক্ষমতা ৪৯ হাজার ১৮ টিইইউ'স (২০ ফুট লম্বা হিসেবে) ছাড়িয়ে গেছে।

ফলে বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে যেমন স্থবিরতা নেমে এসেছে তেমনি জাহাজ জটও বাড়ছে।

বহির্নোঙরে ৩৬টি কনটেইনার জাহাজ অবস্থান করছে। যা বন্দর ব্যবহারকারীদের কাছে অকল্পনীয়।

এ অবস্থায় বন্দর কর্তৃপক্ষ নানা উদ্যোগ নিয়েছে কনটেইনার জট নিরসনে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে- বন্দরের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ১৯টি অফডকে ১৫-২০ হাজার কনটেইনার পাঠানো। এর জন্য অনুমোদন চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান।

অফডক মালিকদের সংগঠন বিকডার সচিব রুহুল আমিন সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরকে আমরা জানিয়েছি ১৮ হাজার ৭৭৫ টিইইউ'স নতুন পণ্যের কনটেইনার বন্দর থেকে অফডকে আনা সম্ভব। তবে শর্ত হচ্ছে আমদানিকারকরা দ্রুত ডেলিভারি নিতে হবে।

তিনি জানান, ১৯টি অফডকে এখন ৩৮ ধরনের আমদানি পণ্য খালাসের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে র' কটন, ওয়েস্ট পেপার, ছোলা, সাদা মটর, খেজুর, পশুখাদ্য, পশুখাদ্যের কাঁচামাল, সোডা অ্যাশ, পেঁয়াজ ইত্যাদি বেশি আসে। অফডকগুলোর ৬৫ হাজার টিইইউ'স ধারণক্ষমতার বিপরীতে এখন আমদানি, রফতানি ও খালি মিলে কনটেইনার আছে ৩৩ হাজার ৩৪০ টিইইউ'স।

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, অফডকে নতুন পণ্য খালাসের অনুমোদনের জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান। এ ছাড়া বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ ব্যবসায়ী সংগঠন ও স্টেক হোল্ডারদের কনটেইনার ডেলিভারি বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আমদানিকারকদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ডেলিভারিতে উৎসাহ দিতে সাময়িকভাবে স্টোর রেন্ট মওকুফ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।