অভিযানের পরও খুচরা বাজারে আদার দাম না কমায় সোমবার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ক্ষোভ জানায় সংগঠনটি।
কয়েকজন আমদানিকারক ৮০-৯০ টাকায় আদা আমদানি করলেও কারসাজির মাধ্যমে খুচরা বাজারে ২৩০-২৪০ টাকায় বিক্রির সংবাদে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর তাৎক্ষণিক অভিযানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ক্যাব।
বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, নগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখের নাম রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযুক্ত অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লঘু দণ্ডের কারণে বারবার এসব মূল্য সন্ত্রাসীরা করোনা মহামারীর এ মহাদুর্যোগকালকে কোনো ভাবেই আমলে না নিয়ে তাদের সেই পুরনো খেলায় মত্ত।
আদা, রসুন, পেঁয়াজ, সবজির মতো পচনশীল পণ্যের ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরেই কমিশন এজেন্ট ও আড়তদার নামে অবৈধ ব্যবসা করে আসছেন। যেখানে পণ্য কেনাবেচার রশিদ ছাড়াই কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছেন। আর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ধরা পড়লে ক্রয় রশিদ দেখাতে ব্যর্থ হন। এ অবৈধ ব্যবসার কারণে সংকটকালে পণ্যমূল্যের বাজার বারবার অস্থির করে তোলে এই চক্র। জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদফতরের অভিযানে বারবার এরা চিহ্নিত হলেও কিছু ব্যবসায়ী নেতার চাপে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির নজির নেই। যার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের।
ক্যাব নেতারা বলেন, বাজারে পচনশীল এ সব পণ্যের বাজার মূল্য বলে পণ্য বিক্রির কথা বলে সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে আমদানির প্রকৃত তথ্য গোপন করে ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে যাচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন থেকে দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও ক্রয় রশিদ সংরক্ষণে নির্দেশনা দেওয়া হলেও তারা এ নির্দেশ মানছে না। আর প্রকৃত ক্রয় রশিদ, আমদানির বৈধ কাগজপত্র (এলসি) ছাড়া ব্যবসা করার অর্থ হলো অর্থ পাচার ও অবৈধ ব্যবসা। এ ধরনের অবৈধ ব্যবসা কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান ক্যাব নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২০
এআর/টিসি