গত ২০ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার জন্য চমেকে আরটি-পিসিআর মেশিন আনা হয়। আগামী মঙ্গলবার (৫ মে) থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মেশিন স্থাপনের পর ক্যালিব্রেশন (মেশিন পরীক্ষার করার একটি পদ্ধতি) করার সময় ত্রুটি ধরা পড়ে।
পরে রোববার (৩ মে) সকালে মেশিনটি খুলে নিয়ে যায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওভারসিস ম্যানেজম্যান্ট করপোরেশন।
চমেক’র অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শামীম হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ক্যালিব্রেশন করতে গিয়ে মেশিনে বড়সড় ত্রুটি ধরা পড়েছে।
এ পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে আবারও মেশিন স্থাপন করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে, করোনা পরীক্ষার জন্য চমেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে প্রস্তুত করা হয়েছে বায়োসেপ্টিক ল্যাব। স্থাপন করা হয়েছে চিকিৎসক ও রোগী বসার স্থান, নমুনা সংগ্রহের জন্য আলাদা কক্ষসহ বিভিন্ন অবকাঠামো।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে করোনা ল্যাব চালু হলে চট্টগ্রামে তৈরি হওয়া নমুনাজট কমবে। এছাড়া রোগীদের দুর্ভোগও অনেকটাই হ্রাস পাবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষায় দুটি ল্যাব চালু রয়েছে। গত ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) পরীক্ষা শুরু।
প্রায় একমাস পর ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) দ্বিতীয় ল্যাব চালু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২০
এমএম/এমআর/টিসি