ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাহাড়ের পাদদেশে মৃত্যুর হাতছানি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৯ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২০
পাহাড়ের পাদদেশে মৃত্যুর হাতছানি পাহাড়ের পাদদেশে মৃত্যুর হাতছানি। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: প্রতি বছর বৃষ্টির আগে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করতে অভিযান চালায় প্রশাসন। কিন্তু স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না থাকায় এসব অভিযানের পরপরই আবার পাহাড়ে ফিরে যায় বসবাসকারীরা।

চলতি মৌসুমে বৃষ্টি আর আসন্ন বর্ষায় পাহাড়ে বসবাসরতদের ঝুঁকি আরও বাড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে ঘরবাড়ি ও বস্তি তৈরি করে কম টাকায় ভাড়া দেয় প্রভাবশালীরা।

---

এছাড়া অবৈধ ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ থাকায় নগরের স্বল্প আয়ের মানুষেরা ওইসব ঘরে ভাড়া থাকছেন। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ বসবাস রোধ করতে না পারার কারণে দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে পাহাড় ধসে মৃত্যুর মিছিল।

নগরের লালখান বাজার মতিঝর্ণা পাহাড় এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, পাহাড় কেটে তার পাদদেশে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য বস্তিঘর। পাহাড় ধস হলে এখানকার লোকজনের জন্য অপেক্ষা করছে ভয়াবহ ট্যাজেডি।

---

এছাড়া নগরের বায়েজিদ থানাধীন আরেফিন নগর ও কুসুমবাগ আবাসিক এলাকা, আকবর শাহ এলাকার রূপনগর আবাসিক এলাকা ও রৌফাবাদ এলাকা সংলগ্ন মিয়ার পাহাড় কেটে গড়ে ওঠা বস্তিতেও বসবাস করছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

জানা গেছে, নগরে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় রয়েছে। এসব পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বাস করছে কয়েক হাজার পরিবার। বিভিন্ন সময় এসব পাহাড় থেকে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে দেওয়া হলেও পরে এসে আবার বসতি গড়ছে তারা।

---

এদিকে পাহাড় কাটা ও দখলের সঙ্গে জড়িতরা চিহ্নিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় দখলকারীরা প্রতিবছর নতুন পাহাড় কেটে আরও বসতি স্থাপন করছে। এভাবে চলতে থাকলে এক দশক পরে শহর ও আশেপাশের এলাকায় একটি পাহাড়ও আর অবশিষ্ট থাকবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশ আন্দোলন কর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২০
এসএস/এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।