ইতিমধ্যে আখাউড়ায় দুটি ব্রিজের মধ্যে একটির কাজ শেষ হয়েছে। আরেকটির কাজ বুধবার (০১ জুলাই) শেষ হবে।
পরিবহন বিভাগ সূত্র জানায়, একজন লোকোমাস্টার (চালক) যখন ট্রেন নিয়ে একটি নির্মাণাধীন ব্রিজের কাছাকাছি চলে আসে তখন তাকে পুরোপুরি থামতে হয়। থামার পর দায়িত্বরত চৌকিদারের কাছে থাকা একটি কাগজে সই করতে হয়। এই সইয়ের অর্থ হলো আমি ট্রেনটি নির্মাণাধীন ব্রিজে থামিয়েছি। ট্রেনের এই থামাকে ডেড স্টপেজ বলা হয়।
প্রতিটি ডেড স্টপেজে লোকোমাস্টারকে ট্রেন থামিয়ে এ কাজ করতে ৬-৭ মিনিট সময় লাগে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ৭ জুলাইয়ের পর থেকে এরকম তিনটি ব্রিজের কাজ শেষ হওয়ায়, এসব ব্রিজে আর ট্রেন থামতে হবে না। এতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যেতে একটি আন্তঃনগর ট্রেন ৬ ঘণ্টা লাগলে এখন ডেড স্টপেজ উঠে যাওয়ায় সময় লাগবে ৫ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
রেলওয়ের সাবেক লোকোমাস্টার মো. শামসুদ্দিন মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিটি ডেড স্টপেজে ৬-৭ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগে। তিনটি ডেড স্টপেজ উঠে গেলে ২০ মিনিট পর্যন্ত সময় বাঁচবে।
যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ৭১টি স্টেশনের মধ্যে ২২টি বন্ধ। এছাড়া ২টি আংশিক বন্ধ। প্রতিটি বন্ধ স্টেশনের জন্য ট্রেনের ২ মিনিট দেরি হয়। ২২টি স্টেশন যদি চালু থাকতো তাহলে ৪৪ মিনিট সময় বাঁচতো।
‘এছাড়াও কুমিল্লা-লাকসাম লাইন মেরামতের জন্য ট্রেন চালাতে হয় ঘণ্টায় ৪০ কি.মি। সব মিলিয়ে ট্রেনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা যদি ভালো থাকতো তাহলে এক ঘণ্টা আগে ট্রেন পৌঁছাতো। এসব বিষয়ে আমরা পূর্বাঞ্চলের কর্মকর্তাদের বারবার বলেছি কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি’ বলেন তিনি।
পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুক্তগীন বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকার আখাউড়ায় ব্রিজ ৪-এর কাজ আজকে শেষ হয়েছে। আরেকটি ব্রিজ-২ এর কাজ বুধবার শেষ হবে। সর্বশেষ সীতাকুণ্ডের কুমিরার ব্রিজ-৫৭ এর কাজ ৭ জুলাই শেষ হবে। এরফলে নির্ধারিত সময়ের আগে ট্রেন পৌঁছাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
জেইউ/টিসি