শনিবার (৪ই জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন বলেন, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে বেসরকারি হাসপাতাল মালিকরা রোগীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট এবং নাগরিক সমাজের চাপে পড়ে তারা রোগী ভর্তি করালেও রোগীকে ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা না দিয়ে উল্টো রোগীর আত্মীয় স্বজনদের ঘাড়ে বিশাল অঙ্কের বিলের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সে বিলের পরিমাণ লাখ টাকাও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। রোগীর ব্যবহৃত ওষুধের দামও বাজার মূল্য থেকে কয়েকগুণ বেশি আদায় করছে এসব অর্থলিপ্সু হাসপাতাল। কোনো নিয়ম-নীতিরও তোয়াক্কা করছে না এসব বেসরকারি হাসপাতাল মালিকরা।
সুজন বলেন, ইতিপূর্বে চট্টগ্রামের ১২টি বেসরকারি হাসপাতাল চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করেও সেবা না দিয়ে প্রতারিত করছে। কী কারণে তারা মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করছে তা বোধগম্য নয়। গত ৩১ মে বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত ও তদারকি করতে সাত সদস্যের সার্ভিল্যান্স কমিটি গঠন করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার। উক্ত সার্ভিল্যান্স কমিটিও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। যারা জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে তাদের অভিযোগগুলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে তদন্ত করে হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলসহ তাৎক্ষণিক জেল জরিমানা প্রয়োজন। তা না হলে স্বাস্থ্য খাতে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে তার লাগাম টানে ধরা সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
এমএম/টিসি