ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রোগীকে শ্বাসরুদ্ধ নয়, শ্বাস নিতে সহযোগিতা করুন: সুজন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২০
রোগীকে শ্বাসরুদ্ধ নয়, শ্বাস নিতে সহযোগিতা করুন: সুজন

চট্টগ্রাম: রোগীকে শ্বাসরুদ্ধ করতে নয়, শ্বাস নিতে সহযোগিতা করতে বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

শনিবার (৪ই জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন বলেন, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে বেসরকারি হাসপাতাল মালিকরা রোগীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে।

তাদের অপেশাদারসুলভ মনোভাবের কারণে করোনা আক্রান্ত রোগী ছাড়াও বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের অকালে প্রাণ হারাতে হচ্ছে। বছরের পর বছর তারা রোগীদের নিয়ে ব্যবসা করে বিপুল পরিমাণ বিত্তের মালিক হলেও রোগীদের প্রতি সামান্য পরিমাণ সহানুভূতি দেখায়নি করোনাকালীন সময়ে।
অথচ মানবতার এক মহান ব্রত নিয়ে তারা এ পেশায় আসলেও রোগীদের জিম্মি করে নিজের পকেট ভারী করাই ছিল তাদের আসল উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, হাইকোর্ট এবং নাগরিক সমাজের চাপে পড়ে তারা রোগী ভর্তি করালেও রোগীকে ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা না দিয়ে উল্টো রোগীর আত্মীয় স্বজনদের ঘাড়ে বিশাল অঙ্কের বিলের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সে বিলের পরিমাণ লাখ টাকাও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। রোগীর ব্যবহৃত ওষুধের দামও বাজার মূল্য থেকে কয়েকগুণ বেশি আদায় করছে এসব অর্থলিপ্সু হাসপাতাল। কোনো নিয়ম-নীতিরও তোয়াক্কা করছে না এসব বেসরকারি হাসপাতাল মালিকরা।

সুজন বলেন, ইতিপূর্বে চট্টগ্রামের ১২টি বেসরকারি হাসপাতাল চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করেও সেবা না দিয়ে প্রতারিত করছে। কী কারণে তারা মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করছে তা বোধগম্য নয়। গত ৩১ মে বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত ও তদারকি করতে সাত সদস্যের সার্ভিল্যান্স কমিটি গঠন করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার। উক্ত সার্ভিল্যান্স কমিটিও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। যারা জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে তাদের অভিযোগগুলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে তদন্ত করে হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলসহ তাৎক্ষণিক জেল জরিমানা প্রয়োজন। তা না হলে স্বাস্থ্য খাতে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে তার লাগাম টানে ধরা সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
এমএম/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।