এ সময় ৪টি মোবাইল সেট, জিহাদী বই, জঙ্গি হামলা সংক্রান্ত ৬টি মোবাইলের স্ক্রিনশর্ট কপি ও বেশকিছু প্রচারপত্র উদ্ধার করা হয়।
রোববার (৫ জু্লাই) দিবাগত রাত ২ টার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের পদুয়া এসিএম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে তাকে আটক করা হলেও বিষয়টি মঙ্গলবার (৭ জু্লাই) জানানো হয়।
তাকে সোমবার (৬ জু্লাই) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম।
আটক জঙ্গি নেতা মো. আব্দুল কাইয়ুম উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের নয়া পাড়ার আব্দুস শুক্কুরের ছেলে।
আটকের পর জঙ্গি নেতা কাইয়ুম পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনিসহ গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি সদস্যরা বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন 'নব্য জেএমবি'র বিভিন্ন স্তরের নেতা বলে বলে স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় এন্টি টেররিজম ইউনিট ঢাকার পুলিশ পরিদর্শক মো. সোলায়মান শেখ বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় আটক আব্দুল কাইয়ুমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী/২০১৩) এর ৬(২)/৮/৯/১০/১২ ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করেছেন। মামলাটি এন্টি টেররিজম ইউনিট তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এন্টি টেররিজম ইউনিট মো. নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, অভিযানে জঙ্গি নেতা আব্দুল কাইয়ুমকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হলেও ৮/৯ জন সদস্য কৌশলে পালিয়ে যায়। এসময় তাদের ব্যবহ্নত ৪টি মোবাইল সেট, বেশকিছু জিহাদী বই, জঙ্গি হামলা সংক্রান্ত মোবাইল স্ক্রীনশর্ট কপি ও বেশকিছু প্রচার পত্র জব্দ করি। আটকের পর জঙ্গি কাইয়ুম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক তার দুই সহযোগীর নাম-ঠিকানা জানালেও অন্য ৬/৭ জনের পরিচয় কৌশলে এড়িয়ে যায়। তার সহযোগীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
অাবদুল কাইয়ুমের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জু্লাই ০৭, ২০২০
এসকে/টিসি