সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিন শনিবার (০৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় মেলার ফটক উন্মুক্ত হলেও দুপুর পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণে ক্রেতা বা দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল কম। হাতেগোনা কিছু সংখ্যক দর্শনার্থী ঘোরাফেরা করছিলেন এক স্টল থেকে আরেক স্টলে।
জানা গেছে, প্রথম দিক মেলা থাকে অনেকটা ক্রেতা-দর্শক শূন্য। তবে, মেলার প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বিকেলে দর্শনার্থী বেড়েছে। সেই তুলনায় শনিবার দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়েনি, বরং কমেছে।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, দর্শনার্থীরা কেনাকাটা করার থেকে পণ্য দেখছেন বেশি। তারা বলছেন, এখন দেখবেন, কিনবেন শেষদিকে। তবে, মেলায় যেসব দোকানে ছাড় দেওয়া হচ্ছে সেখানে ভিড় কিছুটা বেশি।
৫৮০টি দোকান নিয়ে শেরে বাংলা নগর সচিবালয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গায় বসেছে এ বাণিজ্য মেলা। মেলায় সব দোকান এখনও পূর্ণ হয়নি বলেও জানান আয়োজকরা।
মেলার তথ্যকেন্দ্র থেকে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন থেকে শনিবার মেলায় দর্শনার্থী কম, তবে বিকেলে তা কিছুটা বেড়েছে। মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার থেকে মেলায় দর্শনার্থী আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে, মেলায় বিকেলে তরুণ-তরুণীদের ভিড় বাড়লেও কেনা-কাটার থেকে ঘুরে বেড়ানো, সেলফি তোলাতেই ব্যস্ত দেখা গেছে। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, তথ্য কেন্দ্রের আশেপাশে ছবি তুলছেন, আড্ডা দিচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
তবে, যারা সামান্য কেনাকাটা করছেন, তারা বেশ স্বস্তি নিয়েই করতে পারছেন। দর্শনার্থী আফতাবুজ্জামান বলেন, এখন লোকজনই নেই। তাই কেনাকাটায় স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো জানায়, মেলার মাত্র সপ্তম দিন চলছে। সামনের দিনগুলোতে দর্শনার্থী বাড়বে মেলায়।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকছে মেলার গেট। বড়দের জন্য ৩০ টাকা এবং ছোটদের জন্য ২০ টাকার টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হবে মেলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৭
এমআইএইচ/ওএইচ/পিসি
** টেকসই ফার্নিচার নিয়ে বাণিজ্যমেলায় বনশিল্প