শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানের লেক শোর হোটেলে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জঙ্গিবাদ ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার’ বিষয়ক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে রিজিওনাল অ্যান্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আরএটিআরই)।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন এনে জঙ্গি অর্থায়নে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে এ নিয়ে আত্মতুষ্টির কিছু নেই। জঙ্গি অর্থায়নের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীসহ অন্যদের ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে জামায়াতের নখদন্ত ভোঁতা করে দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের অর্থ সাম্রাজ্য এখনও অটুট। রাজধানীসহ সারাদেশেই তাদের বিভিন্ন ভবন দৃশ্যমান। এসবের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বলেন, বিএনপি আমলের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান জাতীয় সংসদে বলেছিলেন- ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে জঙ্গিবাদের অর্থায়নের যোগসূত্র আছে। আমরাও অনেক আগে থেকে বলে এসেছি। এখনও ব্যাংকটির ৯০ শতাংশ কর্মী জামায়াত-শিবিরের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইমেরিটাস অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহারিয়ার কবীর, ইসলামী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যার শামীম মো. আফজাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
***ইসলামী ব্যাংকে শিবির কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
এসই/এমএন/এমআইএস/ইইউডি/আইএ