ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

শুকনো মরিচে ভাগ্য খুলেছে উত্তরের কৃষাণীদের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১০ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৭
শুকনো মরিচে ভাগ্য খুলেছে উত্তরের কৃষাণীদের সড়কে শুকানো হচ্ছে মরিচ-ছবি-বাংলানিউজ

তেতুলিয়ার পথে: পঞ্চগড় থেকে তেতুলিয়া উপজেলার প্রবেশদ্বারে সড়কের এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মরিচ শুকানো হচ্ছে। টকটকে লাল মরিচ পথকে রঙিন করে রেখেছে। সড়কের পিচের ওপর বস্তা থেকে মরিচ বের করে রোদে মেলে ধরছেন কৃষাণীরা।

এ বছর মরিচের দাম গত বছরের তুলনায় বাড়তি। সড়কের পূর্বপাশে বাড়ি কল্পনার।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শুকনো মরিচের দাম এবার বেশি পাওয়া যাচ্ছে। গত বছর প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে গড়ে ৫ হাজার টাকায়। এবার দাম সাত থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত উঠছে। কেজি প্রতি দাম ১২৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৭৫ টাকা পর্যন্ত হয়েছে।  

কল্পনা জানান, পিচঢালা পথের ওপর মরিচ শুকায় তাড়াতাড়ি। ওপরে সূর্যের আলো আর নিচ থেকে পিচের গরমে তেঁতে ওঠে মরিচ। ৫ থেকে ৬ দিন রোদে মরিচ শুকিয়ে বিক্রির উপযোগী হয়। তবে বৃষ্টি হলে মরিচ বার বার ঘরে তুলতে আর বের করতে হয়। তখন রোদের জন্য অপেক্ষা করা লাগে।  

সড়কে শুকানো হচ্ছে মরিচ-ছবি-বাংলানিউজতিনি জানান, বৈশাখ থেকে শ্রাবণ এ ৪ মাস মরিচ চাষ হয়। নিজের ৫ কাঠা জমি থেকে দেড় মণের বেশি মরিচ আসে। এগুলো বিক্রি হয় জগলপুরের হাটে এবং পঞ্চগড় বাজারে। তার স্বামী এগুলো বিক্রি করতে বাজারে নিয়ে যান।  

সড়কের দু’পাশে কৃষাণীদেরই মরিচ শুকানোর কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় বেশি। গাছ থেকে ছিঁড়ে বাড়িতে মরিচ নেওয়া, ৫ থেকে ৬ দিন ধরে শুকানো, বার বার বাড়িতে নিয়ে আসা যাওয়া, এসব কাজ তারাই করেন।  

এ গ্রামের নাম টিটিহি। গ্রামের কয়েকশ’ বিঘা জমিতে মরিচের চাষ হয়। মরিচ চাষি জয়নুল বলেন, কাঁচা মরিচের তুলনায় শুকনো মরিচের দাম বেশি পাওয়া যায়। নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও নেই। এ গ্রামে কৃষাণীরাই মরিচ চাষে বেশি কাজ করেন বলে জানান তিনি।  

গাছে ঝুলছে মরিচ-ছবি-বাংলানিউজসড়কের পাশে নিজের মরিচের জমি দেখিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন মরিচ তোলা হয় না। চার বা পাঁচদিন পর পর তোলা হয়।

ক্ষেতের গাছগুলোতে কাঁচা-পাকা মরিচের এক অপূর্ব মিশেল আধাপাকা মরিচগুলো পাকার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে এগুলোও উঠে যাবে সড়কে।  

উত্তরবঙ্গের বৃষ্টিস্নাত অপরূপ ভোর

বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৭
এমএন/আরআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।