ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পদ্মা অয়েলের সাবেক এমডি আবুল খায়ের আটক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
পদ্মা অয়েলের সাবেক এমডি আবুল খায়ের আটক

ঢাকা: পদ্মা অয়েল কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল খায়েরকে দুর্নীতির মামলায় আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২১  সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, আবুল খায়ের যখন পদ্মা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তখন তিনি ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

আর সেই মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে। দুদকের পরিচালক জায়েদ হোসেনের তত্ত্বাবধায়নে উপ-সহকারী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম গুলশানের নিজবাসা থেকে তাকে আটক করেন। বর্তমানে তাকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে।

 আবুল খায়ের দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন থেকে অবসরোত্তর ছুটিতে গেছেন বলেও জানা যায়।  

দুদক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৬ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় তেল বিপণন কোম্পানি পদ্মা অয়েলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা করে দুদক। ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের দ ‘টি মামলাতেই তিনি আসামি।  দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদী হয়ে  চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট থানায় মামলা দু’টি দায়ের করেন।  

দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহের জন্য ২০১২ সালে হাইড্রেন্ট লাইন নির্মাণের একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করে পদ্মা অয়েল। ২০১৬ সালের জুনে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। প্রকল্পের কাজের মোট খরচ দেখানো হয় ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার। কিন্তু দুদকের পক্ষ থেকে গত জানুয়ারি মাসে নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দল দিয়ে পুনরায় পরিমাপ করে দেখা হয়।  

নতুন পরিমাপে সেখানে মোট ৬ লাখ ৩২ হাজার ৮৩৮ মার্কিন ডলারের কাজ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ, কম কাজ করে বেশি কাজ দেখিয়ে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫৬১ মার্কিন ডলার বা ২ কোটি ৭৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬২২ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পদ্মা অয়েলের তৎকালীন এমডিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বাকি দুই আসামি হচ্ছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সওয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফাহিম জামান পাঠান ও প্রকল্পের পরিচালক পদ্মা অয়েলের কর্মকর্তা মো. আলী হোসেন।  

পদ্মা অয়েলের খুলনার দৌলতপুরে তেলের ডিপোতে তিনতলা একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালে। ওই ভবন নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৯০ লাখ ২৪ হাজার ৮২ টাকা পরিশোধ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে ওই ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৬ হাজার ১২১ টাকা। অর্থাৎ মোট ৩২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৬১ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিল তৈরি ও অনুমোদনের সঙ্গে জড়িত থাকায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পদ্মা অয়েলের এমডি আবুল খায়ের ছাড়াও মামলায় আসামি করা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মো. ইউনূস অ্যান্ড কোম্পানির মালিক মো. আনিছুর রহমান, পদ্মা অয়েলের কর্মকর্তা কে এম আবদুর রহিম, সালেকী আহমেদ আইনুল আক্কাসী ও মো. নুরুল আমীনকে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭/আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা
এসজে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।