তবে শুক্রবার (১৮ মে) প্রথম রমজানেই নির্ধারিত দাম মানছেন না অনেক ব্যবসায়ী। আগের দামেই মাংস বিক্রি করছেন।
সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, রমজানে দেশি গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, ভারতীয় গরুর মাংস ৪২০ টাকা, মহিষের মাংস ৪২০ টাকা, ভেড়ার মাংস ৬০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারে ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি বেশি দামে পশু কেনায় দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা বাজারের খাসির মাংস বিক্রেতা শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এখনও চার্ট পাইনি। খাসির দাম বেশি হওয়ায় মাংসের দামও বেশি নেওয়া হচ্ছে।
এ বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা খোকন এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. খোকন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি না। আগের দামেই বিক্রি করছি। সিটি করপোরেশনের নির্ধারণ করে দেওয়া দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই দামে দিমু তবে অর্ধেক হাড্ডি-চর্বি লইতে হইবু। না হলে পারুম না’।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারেও একই চিত্র দেখা গেছে। এ বাজারে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। নেই সিটি করপোরেশনের দামের কোনো তালিকা।
মাংস বিক্রেতা আরমান বলেন, এখন মালের দাম বেশি। তাছাড়া সিটি করপোরেশন থেকে এখনও কোনো কাগজ পাইনি। এজন্য আগের দামেই মাংস বিক্রি করছি।
তবে ব্যতিক্রম দেখা গেছে হাতিরপুল বাজারে। এখানে সিটি করপোরেশনের নির্ধারণ করে দেওয়া মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে খাসি এবং গরুর মাংস। এ বাজারের ব্যবসায়ী কালু বলেন, আমরা ক্রেতার স্বার্থেই আগামী ২৫-২৬ দিন কোনো লাভ করবো না। সিটি করপোরেশনের বেঁধে দেওয়া দামেই মাংস বিক্রি করবো।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা রমজান উপলক্ষে সবাইকে একটু সুখে রাখতে চাই। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সব জায়গাতেই নির্ধারিত মূল্যে মাংস বিক্রি হচ্ছে। যেখানে ব্যতিক্রম হচ্ছে আমরা শনিবার (১৯ মে) থেকে বাজার ঘুরে দেখবো। আশা করছি ঠিক হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) মাংসের মূল্য এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। সেখানে নির্ধারণ করে দিলেই আশা করছি মূল্য দুই সিটিতেই সমানতালে কার্যকর হবে।
এদিকে বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বয়লার গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা কেজি, আজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। কর্ক গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৯০ টাকা কেজি। শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা কেজি দরে।
তবে রমজান ঘিরে পণ্যের এ বাড়তি মূল্য সামনের দিনগুলোতে কমে যাবে বলে আশা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
জেডএস