ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কৃষি

সুবিধা পেলে আখ চাষে ফিরতে চায় কৃষক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
সুবিধা পেলে আখ চাষে ফিরতে চায় কৃষক আখ ক্ষেত

কুষ্টিয়া: বাংলাদেশের অর্থকরী ফসলের মধ্যে আখ অন্যতম। এক সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় চাষ হতো চিনি তৈরির এ কাঁচামাল। এরই সুবাদে কুষ্টিয়ায় চিনিকল স্থাপন করা হয়। প্রথম দিকে কৃষকরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আখ চাষ করলেও এখন আর তাদের আখ চাষ করতে দেখা যায় না। 

আখের অভাবে প্রায় বন্ধ কুষ্টিয়ার চিনিকল। বর্তমানে আখের জমিতে চাষ হচ্ছে বিষ বৃক্ষ তামাক।

তামাক চাষে পরিশ্রম বেশি হলেও নানা সুবিধার কারণে কৃষক ঝুঁকে যাচ্ছে তামাক চাষে। তবে আখ চাষে সুযোগ-সুবিধা পেলে কৃষকরা আবারো তাদের জমিতে আখ চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন।  

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তামাক চাষি দুলাল আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমার যে জমিতে আখ চাষ করতাম সেখানে এখন তামাকের চাষ করি। মিলের দালাল আর কর্মকর্তাদের অত্যাচারের জন্য আখ চাষ ছেড়ে দিয়েছি। মিলে আখ দিতে অসুবিধা, ঠিকমতো ওজন দিত না, ফুরজি (মিলে আখ দেওয়ার ট্রিপ) পাওয়া যেত না, একজনের টাকা আরেকজন তুলে নিত, কৃষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতো।

আখ ক্ষেতএছাড়া আখ একটি দীর্ঘমেয়াদী ফসল তাই এর চাষ কমে যাচ্ছে। তবে চিনি কল যদি আমাদের সুযোগ-সুবিধা দেয় তাহলে আমরা আবার তামাকের পরিবর্তে আখের চাষ করবো।  

আখ চাষি দিলীপ কুমার বাংলানিউজকে বলেন, মিল সংশ্লিষ্টরা আমাদের আখ নিতে চায় না। তারা তাদের দালালদের কাছ থেকে আখ নেয়। আমরা মিলে আখ দিয়ে ঠিকমতো টাকাও পাই না। মিল কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের আখ কেনার এবং ঠিকমতো টাকা দেওয়ার নিশ্চিয়তা দেয় তাহলে আমরা আবার আখ চাষ শুরু করবো।  

আখ চাষি খেপা আলী বাংলানিউজকে জানান, তামাকের চাইতে আখে খরচ ও পরিশ্রম তুলনামূলকভাবে কম। তবে তামাক চাষে কোম্পানি লোন দেয়, সহজেই তামাক কিনে নিয়ে যায় এবং টাকা পরিশোধ করে। তাই তামাকের ওপরে কৃষকদের বেশি ঝোঁক। যদি আখ চাষিদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হয় তাহলে আখ চাষ করতে আগ্রহী হবে কৃষকরা।  

কুষ্টিয়া চিনি কলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, আমরা চিনির উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের আখ চাষে উৎসাহিত করে যাচ্ছি। তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এসএমএস এর মাধ্যমে সরাসরি চাষির কাছ থেকে আখ ক্রয় এবং শিউর ক্যাশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করছি চাষিরা আবারো আখ চাষে উৎসাহিত হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, ২৪ মে, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।